স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ সেপ্টেম্বর : রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। প্রতিদিন বাড়ছে সন্ত্রাসের ঘটনা। পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ। বুধবার উদয়পুরে সিপিআইএম -এর মিছিল কেন্দ্র করে আক্রান্ত হয়েছিল কর্মী সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার সিপিআইএম -এর একটি মিছিল ও সভা রাজধানীর হাঁপানিয়া এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল শুরু হওয়ার আগে থেকে এলাকার পরিস্থিতি উদ্বেগ জনক হয়ে উঠে। রীতিমতো সভা শুরু হওয়ার পর বিজিপি কর্মী সমর্থকরা সিপিআইএম কর্মীদের ঘেরাও করে। পরে বাড়ি ফেরার সময় শাসক দলের আশ্রিত দুর্বৃত্তরা বহু সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের উপর আক্রমণ চালায়। সভাস্থলে সিপিআইএম কর্মী সমর্থক সহ বিরোধী দলনেতাকে আটকে রাখে বিজেপি আশ্রিত দুর্বৃত্তরা। পরবর্তী সময় এর প্রতিবাদে এবং বিরোধী দলনেতা সহ অন্যান্য কর্মীদের সমাজ স্থল থেকে মুক্ত করে আনতে দাবী জানিয়ে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা পুলিশের সদর কার্যালয় ঘেরাও করে।
আইনজীবী ভাস্কর দেববর্মা সহ আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল ও সিপিআইএম নেতৃত্ব মানিক দে, শংকর প্রসাদ দত্ত সহ একটি প্রতিনিধি দল রাজ্য পুলিশের আধিকারীকদের সাথে দেখা করেন। তাদের অভিযোগ বুধবার উদয়পুর সভা শেষে যেসব কর্মীরা আগরতলা এসেছে, তাদের বাইপাস এবং হাঁপানিয়া এলাকায় গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করেছে বিজেপির দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার হাপানিয়ায় একইভাবে সভা শেষ হওয়ার পর মারধর করে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের। ডুকলি মহাকুমা অফিসে আটকে পড়েন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার সহ দুই শতাধিক কর্মী সমর্থক। এ বিষয়ে একাধিকবার পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হলেও তিনি তাদের নিরাপদে বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে বলে প্রায় তিন ঘণ্টা কাটিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না। তাই রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশকের কাছে এদিন জানতে চাওয়া হয়েছে কেন পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এমনকি যারা সাধারণ যাত্রী দক্ষিণ জেলা, সিপাহীজলা জেলা এবং গোমতী জেলা থেকে অন্য কোন কাজে আগরতলা শহরে আসছে তাদের পর্যন্ত রেহাই দিচ্ছে না শাসক দলের দুর্বৃত্তরা। গাড়িতে উঠে মহিলাদের পর্যন্ত মারধর করছে। তাই পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপারের কাছে জানাতে এসেছেন প্রতিনিধি দল। পুলিশ সুপার সিপিআইএম নেতৃত্ব এবং আইনজীবীদের আশ্বস্ত করে জানান, তিনটি বাসের ব্যবস্থা করে ঘটনাস্থল থেকে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের উদ্ধার করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপারকে আরো বলা হয়েছে আজকের ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য। এটা বিজেপির দুঃশাসন। প্রশাসন নেই বলে কটাক্ষ করেন মানিক দে।