স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১৪ অক্টোবর :দীপাবলিকে সামনে রেখে সেজ উঠছে ৫১ পীঠের একপিঠ মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির। মঙ্গলবার মাতাবাড়ির এই আলোর উৎসবকে সাজিয়ে তুলতে বিধায়ক এবং জেলা শাসক সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা পরিদর্শনে যান। এবছর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে তিন দিন। আগামী ২০শে অক্টোবর সন্ধ্যায় এই তিনদিন ব্যাপী দেওয়ালি উৎসবের সূচনা হবে। শেষ হবে ২২শে অক্টোবর। লক্ষ লক্ষ পূর্ণর্থীর সমাগম হয় এই উৎসবে। রাজ্য, বহিঃ রাজ্য, প্রতিবেশী বাংলাদেশ সহ অন্যান্য রাষ্ট্র থেকেও বহু পূর্ণার্থী এই মেলায় উপস্থিত হবে। দুই হাজারের অধিক দোকানি তাদের পসরা নিয়ে হাজির হবে।
মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। দেশ বিদেশের শিল্পীরা এতে অংশ নেয়। এটি রাজ্যের অন্যতম বৃহতম মেলা। এই উৎসব ও মেলাকে সার্বিক সার্থক করে তুলতে ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। মঙ্গলবার গোমতী জেলার জেলাশাসক রিঙ্কু লাথার, বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, উদয়পুর পৌর পরিষদের পৌর পিতা শীতল চন্দ্র মজুমদার ও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে মাতারবাড়ি মেলা প্রাঙ্গন পরিদর্শন করেন। মেলা প্রাঙ্গনের ধন্যমানিক্য মুক্ত মঞ্চ, মন্দির চত্বর ও মেলা চত্বরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে নিরাপত্তার যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখেন। পরিদর্শন শেষে জেলাশাসক সংবাদ প্রতিনিধিকে জানান, নানা পরিকাঠামোগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে দেওয়ালি মেলাকে সর্বাঙ্গীণ সফল করতে এটি মধ্যে দুই দফায় পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। কল্যাণ সাগরের উত্তর – পূর্ব কোণে অবস্থিত ধন্য মানিক্য মুক্ত মঞ্চে হবে মেলার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান। মেলায় থাকবে এলইডি স্কিন। রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রের প্রচার মূলক স্ক্রিন থাকবে মেলা প্রাঙ্গনে। সাজিয়ে তোলা হবে নানা রং এর আলোক মালায়। দেওয়ালি মেলায় তিন দিন কল্যাণ সাগরের দীঘিতে কোন পূর্ণাথীদের কোন রকম স্নান করা যাবে না।
সেই বিষয়ে জেলা পুলিশ প্রশাসন নজরদারি রাখবে। তিন দিনের মেলায় পুলিশি নিরাপত্তার বিষয়ে থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, সিসি ক্যামেরা। হর্টিকালচার দপ্তর গোমতী জেলা মন্দির ও মন্দিরের সামনে মূল ফটকে ফুল দিয়ে সাজিয়ে তুলবে। এর মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ থাকবে প্রাকৃতিক ফুল। মেলা প্রাঙ্গনে অস্থায়ী শৌচালয় থাকবে l পর্যাপ্ত পানীয় জল। উদয়পুর পুর পরিষদের সাফাই কর্মীরা মেলার তিন দিন এগুলি সাফাই করবে। মেলা প্রাঙ্গনে থাকবে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। মেলায় থাকবে ৬০০ অধিক স্বেচ্ছাসেবক, তিন ধাপে থাকবে তারা। উদয়পুর ব্রম্মাবাড়ী থেকে মাতাবাড়ি পর্যন্ত জাতীয় সড়কের উভয় দিকে সরকারী প্রাচীরে রাজ্যের ঐতিহ্য বিষয়ক পোস্টার লাগানো থাকবে। সব প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবছরও দীপাবলিতে সেজে উঠবে মাতাবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গন। এই দিনের জন্য সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে দর্শনার্থীরা।

