স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২২ সেপ্টেম্বর : মা ডাকটি কত মধুর। কিন্তু এক মা নিজের স্বার্থের জন্য ছেলে মেয়েকে ছুরে ফেলে দিতে দিধাবোধ করলেন না। দশ মাস দশদিন গর্ভে ধারন করে সাময়িক সুখের জন্য ছেলে মেয়েকে ফেলে রেখে দিয়ে চলে গেলেন এক মহিলা। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, শান্তির বাজার কাঞ্চননগর এলাকার বাসিন্দা টুটন মজুমদার বিগত ১৪ বছর পূর্বে শান্তির বাজার মহামুনি এলাকার বাসিন্দা মমতা মজুমদারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের পর জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান ও এক পুত্র সন্তান। বর্তমান সময়ে তাদের কন্যাসন্তানের বয়স হয়েছে ১২ বছর ও পুত্র সন্তানের বয়স হয়েছে ৪ বছর। বিবাহ জীবনে কোনোপ্রকার কলহ ও অভাব ছিলো না।
কিন্তু দেখা যায় স্বামীর অজান্তে গূহবধূ পরকীয়ায় আশক্ত হয়ে পরে। পরকীয়ার জেরে বিশ্বকর্মা পূজার পরের দিন গৃহবধূ নিখোঁজ হয়ে পরে। গৃহবধূর নিখোঁজ হবার বিষয়ে শান্তির বাজার থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়। অনেক খোঁজাখুজির পর গৃহবধূকে নাপেয়েঅবশেষে সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হন পরিবারের লোকজনেরা। এই বিষেয় পরিবারে থাকা ছোট কন্যাসন্তান জানান তার মা ফোনে একটি ছেলের সঙ্গে কথা বলতো। তার পিতাকে জানানোর চেষ্টা করলেও মায়ের ভয়ে কিছু বলে উঠতে পারতেন নি। বর্তমান সময়ে সে মাতৃহারা হয়ে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে মাকে ফিরে পেতে আবেদন জানায়। অপরদিকে গৃহবধূর স্বামী জানায় সেই এইবিষয়ে কিছু জানেন না। বিশ্বকর্মা পূজার পরেরদিন গৃহবধূ ডাক্তার দেখানোর নামকরে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীসময় আর ঘরে ফিরেনি। জানা যায় গৃহবধূ যাবার সময় ঘরথেকে নগদ দশ হাজার টাকা ও প্রয়োজনীর কাগজপত্র নিয়ে যায়। বর্তমান সময়ে চার বছরের ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে আছেন স্বামী টুটন মজুমদারের। তবে দুই গর্ভের সন্তানের এই কাতর আবেদন কতটা মায়ের কানে পৌঁছাবে সেটা এখন বড় বিষয়।

