স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ জুলাই : ত্রিপুরেশ্বরী ব্র্যান্ডের চা পাতা শনিবার ত্রিপুরেশ্বরী প্রিমিয়াম ব্যান্ড টি প্যাকেট নামে আত্মপ্রকাশ করে। এদিন সচিবালয়ে এর আত্মপ্রকাশ হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। তিনি নয়া ব্যান্ডের আত্মপ্রকাশের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন ত্রিপুরা চা শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার বদ্ধপরিকর। ত্রিপুরার চা বর্তমানে দেশের পঞ্চম স্থান অধিকার করে আছে। রাজ্যে নয় থেকে দশ লক্ষ কেজি চা উৎপাদন হয়।
দেশের ১০ শতাংশ চা -র চাহিদা মেটায় ত্রিপুরার চা বাগান গুলি। বর্তমানে রাজ্যের ৫৪ টি চা বাগান রয়েছে। ত্রিপুরার চা বাগান থেকে ১২,৯০০ হেক্টরের অধিক চা উৎপাদন হয়। মোট ২২ টি চা কারখানা রয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যে। নিগম পরিচালিত দুটি, এগুলো হলো ব্রহ্মকুণ্ড এবং দুর্গাবাড়ি চা বাগান। কোপারেটিভ পরিচালিত পাঁচটি এবং বেসরকারি পরিচালিত ১৫ টি কারখানা রয়েছে। চা শিল্পের সাথে জড়িত প্রায় ১৪ হাজারের অধিক শ্রমিক। ২ হাজার ক্ষুদ্র শ্রমিকও রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে ত্রিপুরার চা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
ত্রিপুরার চা বাংলাদেশের রপ্তানি করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। পাশাপাশি চা শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে গেলে যেমন কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা হবে, তেমনি মার্কেটিংয়েরও একটি নয়া ব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। বাগানগুলি আধুনিককরণ করার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ত্রিপুরার চা বিশেষ সফলতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি দুটি চা বাগানে টুরিস্ট স্পট তৈরি করে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কমলা সাগর এবং দুর্গা বাড়ির চা বাগানে টুরিস্ট স্পট করা হয়েছে। এদিকে দুর্গাবাড়ি সেন্টাল টি সেন্টারে কয়লার পরিবর্তে গ্যাসের চুল্লি ব্যবহার শুরু হচ্ছে। আগামী দিনে ত্রিপুরার চা দেশে আরো সুনাম অর্জন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা বলেন ত্রিপুরা চা আরো অধিক হারে মানুষের কাছে তুলে ধরতে নিগম কাজ করে চলেছে। আগামী দিনে চা উৎপাদন আরো কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেদিকে গুরুত্ব দিচ্ছে নিয়ম কর্তৃপক্ষ।