স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ২৫ আগস্ট : আবারো সংবাদ শিরোনামে ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশন। শেষ পর্যন্ত তারা ভাগ বসিয়েছে সাধারণ নিরাপত্তা কর্মীদের বেতন ভাতায়। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সোমবার সামনে উঠে এসেছে। যদিও ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে অর্থ নয় ছয়ের বড়সড় অভিযোগ দীর্ঘদিনের। স্বয়ং শাসিত এই সংস্থায় রাজ্য সরকারের কোন ধরনের হস্তক্ষেপ না থাকায় বিভিন্ন ছলা কলায় অর্থ নয়ছয় হয়ে থাকে বলে অভিযোগ। ফ্লাড লাইট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি এই ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সংঘটিত হয়েছে। যার ভেতর কিছু কিছু মামলা এখনও বিচারাধীন।
ক্রীড়া সংস্থার ভেতর সব থেকে বৃত্তশালী এই সংস্থার বিরুদ্ধে গরিবের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ উঠল সোমবার। এস.টি.এস.এফ সিকিউরিটি যোগান কারী সংস্থার টাকা আটকে রাখার অভিযোগে সোমবার ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা। প্রসঙ্গত ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনে এসটিএসএফ সংস্থার ১৫ জন বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী কাজ করে।
২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত প্রায় ১৭ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের কাছে। বহুবার চিঠি দেওয়া হয়েছে, অথচ গত এক বছরে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে কোন টাকা মিটিয়ে দেয়নি ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশন। এ টাকা মিটিয়ে না দেওয়ায় নিরাপত্তা কর্মীদের বেতন তিন মাস ধরে দিতে পারছে না সংস্থাটি। দীর্ঘদিন চিঠি দিয়ে বকেয়া পরিশোধের আবেদন করে ও কোন রকমের উওর না পেয়ে সোমবার তারা ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশন অফিসের সামনে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। অবিলম্বে তাদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানান সংস্থার উদ্বোধন কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকরা জানান, এই বেতন দিয়ে তাদের সংসার পরিচালনা হয়। কিন্তু এ টাকা আটকে রেখে ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশন গত কয়েকদিন আগেও লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে বড় অনুষ্ঠান করেছে।
আর গরিব শ্রমিকদের পেটে লাথি মারছে বলে অভিযোগ তুলেন। তবে এদিন সবচেয়ে লজ্জা জনক বিষয় হলো নিরাপত্তা কর্মীরা যখন জড়ো হয়ে আন্দোলন শুরু করে তখন ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের বাবুরা দরজা লাগিয়ে ভেতরে বসে থাকে। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে এসে মুখ দেখাতে চাননি। তাদের এমন কার্যকলাপ দ্বারা স্পষ্ট ডাল মে কুছ কালা হে। নাহলে অফিস বন্ধ করে এভাবে মুখ লুকাতেন না তারা। উল্লেখ্য, কিছুদিন পূর্বেও পুরস্কার বিতরণীর নামে ৪৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশন। অপরদিকে গরিবের টাকা আটকে রাখায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।

