স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৮ অক্টোবর: ইয়ামালকে পেতে আগ্রহী সেই ক্লাবের নাম জানাননি লাপোর্তা। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে আগেই, কিলিয়ান এমবাপের জায়গা পূরণের জন্য ইয়ামালকে পেতে মরিয়া ছিল পিএসজি।অর্থের প্রয়োজনে বার্সেলোনা বেশ কজন ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়েছে বা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে, এমন অভিযোগের জবাবে ক্লাবের নিজস্ব টিভি চ্যানেলে এসব কথা বলেন লাপোর্তা। তার দাবি, ক্লাব ছেড়ে যাওয়া ফুটবলাররা সবাই ফুটবলীয় কারণেই চলে গেছেন।“অনেকেই মনে করেন, টাকা-পয়সার হিসাব ঠিক রাখতে আমরা অনেক ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়েছি। আদতে তা সত্যি নয়। যে ফুটবলাররা চলে গেছে, তারা ফুটবলীয় কারণেই গেছে। (উসমান) দেম্বেলে, (মার্ক) গিউ…বার্সায় তারা সবকিছু যতটা ভালোভাবে করতে পেরেছে, অন্য কোনো ক্লাবে পারবে না।”
“দলবদলের বাজারে আমরা কী করছি, তা ভালোভাবেই জানি। আমরা তাদেকেরই দলে চাই, যারা সেরা এবং এখানে থাকতে ইচ্ছুক। সেটিই আমরা দেখিয়েছি। একটি ক্লাব আমার কাছে এসেছিল ২৫ কোটি ইউরোতে (২৭ কোটি মার্কিন ডলার) লামিনেকে দলে নিতে, কিন্তু আমি ‘না’ বলে দিয়েছি।”বার্সেলোনা ছেড়ে ইলকাই গিন্দোয়ানের ম্যানচেস্টার সিটিতে নাম লেখানোর ক্ষেত্রেও লাপোর্তা একইরকম কথা বলেছিলেন গত মাসে।সাত বছর বয়সে ক্লাবের একাডেমিতে যোগ দেওয়া ইয়ামাল এখন বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে উজ্জ্বল তরুণ প্রতিভাতের একজন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ক্লাবের জার্সিতে অভিষেক হয় তার। এখন ১৭ বছর বয়সেই ক্লাবের হয়ে ৬০টির বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। গত ইউরোতে স্পেনের শিরোপা জয়েও বড় অবদান রেখেছেন। এই বয়সেই ক্লাব ও দেশের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছেন তিনি।
এখন অবশ্য চোটের কারণে মাঠের বাইরে আছেন ইয়ামাল। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ের এই চোটে পড়েছেন তরুণ উইঙ্গার। স্পেনের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের মন্তব্যের জের ধরে ক্লাব ও দেশের সেই চিরন্তন টানাপোড়েনও তৈরি হয়েছে আবার।লাপোর্তা এখানে তির ছুড়লেন দে লা ফুয়েন্তের দিকেই। পেদ্রির উদাহরণ দিলেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে ইউরো ও অলিম্পিকস খেলতে গিয়ে চোটে পড়েছেন বার্সেলোনার এই তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলার। ইয়ামালকে নিয়ে তেমন অভিজ্ঞতা চান না ক্লাব সভাপতি।
“ফুটবলারদের পারিশ্রমিক দেয় তো ক্লাবগুলিই। এটা মাথায় রাখতে হবে। (দে লা ফুয়েন্তে) বলেছে যে, জাতীয় দলে তো ফুটবলাররা মাসে স্রেফ একটি ম্যাচ খেলে। খুব ভালো। কিন্তু ফুটবলারদের টাকা দেই তো আমরাই।”“পেদ্রির সঙ্গে যা হয়েছে, সেটির পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে চাই না। ডেনমার্কের বিপক্ষে লামিনেকে খেলানো ছিল অপরিণামদর্শী। অবশ্যই আমরা নিজেদের স্বার্থ দেখেছি এবং তারা আমাদের পরিকল্পনা ও ফুটবলারের (ইয়মালের) চাওয়া বুঝতে পেরেছে। লামিনে দারুণ বোধসম্পন্ন এবং শেষ পর্যন্ত সঠিক কাজটিই করা হয়েছে।”
উয়েফা নেশন্স লিগে ডেনমার্কের বিপক্ষে ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগার পর ক্লাবে ফিরে যান ইয়ামাল। সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে তাকে পায়নি স্পেন।লা লিগায় রোববার সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বার্সেলোনার হয়ে তার খেলার সম্ভাবনা সামান্যই। আগামী বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ও শনিবার লা লিগায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে তাকে পাওয়ার আশা করছে ক্লাব।