স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২ অক্টোবর: মঙ্গলবার রাতে একপেশে ম্যাচে ৫-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা।জোড়া গোল করেছেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। একটি করে গোল করেছেন রাফিনিয়া ও ইনিগো মার্তিনেস। অন্য গোলটি বয়েজের আত্মঘাতী।সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ চার ম্যাচের দুটিতে হারা বার্সেলোনা শুরু থেকেই যেন প্রতিপক্ষকে ভাসিয়ে দিতে চাইল আক্রমণের বন্যায়।মোনাকোর বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন আসর শুরু করা দলটি হেরেছে লা লিগায় নিজেদের সবশেষ ম্যাচেও। ওসাসুনার বিপক্ষে ওই ম্যাচে ৪-২ গোলে হেরে তেতে থাকা দলটির তোপে পুড়ল বয়েজ।
চতুর্থ মিনিটে লামিনে ইয়ামালের শট ঠেকান মার্ভিন কেলার। চার মিনিট পরে আর পারেননি তিনি। কাছের পোস্টে ঝাঁপিয়ে ঠেকাতে পারেননি রাফিনিয়ার দারুণ নিচু ক্রস। ছুটে গিয়ে দূরের পোস্ট ফাঁকা জালে বল পাঠান লেভানদোভস্কি।বল দখলে অনেক এগিয়ে থাকা বার্সেলোনার একের পর এক আক্রমণে নিজেদের অর্ধ ছেড়েই বের হতে পারছিল না সুইস চ্যাম্পিয়নরা।৩০তম মিনিটে একটি সুযোগ অবশ্য পেয়েছিল তারা। কিন্তু বিপহ্জনক জায়গায় বল পেয়েও বাইরে মেরে দলকে হতাশ করেন ইব্রিমা কুলি।চার মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে বার্সেলোনা। পেদ্রির জোরাল শট হেড করে ফেরান সফরকারীদের একজন। আলগা বল পেয়ে বাকিটা অনায়াসে সারে ছন্দে থাকা ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনিয়া।
৩৭তম মিনিটে স্কোর লাইন ৩-০ করে ফেলেন মার্তিনেস। পেদ্রির ফ্রি কিকে সবার উঁচুতে লাফিয়ে চমৎকার হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার।দুই মিনিট পর ফেররান তরেসের শট ঠেকান বয়েজ গোলরক্ষক। ৪৫তম মিনিটে তিনি ঠেকান ইয়ামালের প্রচেষ্টা।প্রথমার্ধে প্রায় ৭৪ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১২টি শট নেয় বার্সেলোনা, এর সাতটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে, বয়েজ নিতে পারে কেবল দুটি শট, এর একটিও ছিল না লক্ষ্যে।বিরতির পর একই ছন্দে শুরু করা বার্সেলোনা ব্যবধান বাড়ায় ৫১তম মিনিটে। রাফিনিয়ার কর্নারের মার্তিনেসের হেডে বল পেয়ে যান লেভানদোভস্কি। জটলার মধ্য থেকে বাকিটা সারেন অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার।
আক্রমণাত্মক ফুটবলে আসতে থাকে একের পর এক সুযোগ। সেগুলো নিতে পারছিল না বার্সেলোনা। তেমন কোনো পাল্টা আক্রমণে যেতে পারছিল না বয়েজও।৭৫তম মিনিটে ইয়ামালের জায়গায় বদলি নামেন ফ্রেংকি ডি ইয়ং। চোট কাটিয়ে লম্বা সময় পর এই ম্যাচ দিয়েই মাঠে ফিরলেন ডাচ মিডফিল্ডার।ছয় মিনিট পর বয়েজের ভুলেই বাড়ে ব্যবধান। নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন মোহামেদ আলি কামারা।যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে বার্সেলোনার জালে বল পাঠান কুলি। তবে মেলেনি গোল। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে অফসাইডের বাঁশি বাজান গোলরক্ষক।