স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৯ আগস্ট: স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে রোববার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল।লিগের গত আসরে এই মাঠেই রোমাঞ্চে ঠাসা এক লড়াই উপহার দিয়েছিল দল দুটি। বারবার পালাবদলের ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত হয়েছিল ৪-৪ গোলে ড্র। তাদের ফিরতি লেগও রয়ে যায় অমীমাংসিত, ১-১ গোলে। দাপটের সঙ্গেই সেই ধারা ভেঙে দিল প্রথম দল হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া সিটি।
হলান্ডের নৈপুণ্যে অষ্টাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় সিটি। বাঁ দিক থেকে জেরেমি দোকু বক্সে পাস দেন, বের্নার্দো সিলভা ছোট্ট টোকায় বল বাড়ান হলান্ডকে। এরপর, বল ধরে ঠাণ্ডা মাথায় দুইজনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন নরওয়ের তারকা স্ট্রাইকার।ক্যারিয়ারে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের গোলমুখে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা হলান্ড সিটির জার্সিতে হয়ে উঠেছেন যেন গোলমেশিন। পরিসংখ্যানেও তা স্পষ্ট; দলটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০০ ম্যাচে তার গোল হলো ৯১টি, আরও ১৫টি গোলে আছে তার অবদান।গোল পেয়ে চাপ বাড়ায় সিটি। ৩৭তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেতে পারত তারা। দোকুর দূর থেকে নেওয়া শটে বল ডিফেন্ডার ভেসলি ফোফানার পায়ে লেগে ক্রসবার ঘেঁষে জালে জড়াতে যাচ্ছিল, অসাধারণ নৈপুণ্যে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন রবের্ত সানচেস।
প্রাক-মৌসুমে ছয় ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয়ের স্বাদ পাওয়া চেলসির খেলায় প্রথমার্ধের শেষ দিকে কিছুটা ধার বাড়ে। ৪৫তম মিনিটে দলটির ফরোয়ার্ড নিকোলাস জ্যাকসন কাছ থেকে জালে বলও পাঠান, কিন্তু অফসাইডের বাঁশি বাজে।দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে সতীর্থের পাস বক্সে ধরে সিলভা আবারও খুঁজে নেন হলান্ডকে। আর প্রথম ছোঁয়ায় তার নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক।পরের কয়েক মিনিটে ভালো কয়েকটি আক্রমণ করে চেলসি। ৫৯তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগও পায় তারা; কিন্তু চার গজ দূর থেকে গোলরক্ষক বরাবর ভলিতে হতাশ করেন জ্যাকসন।
৭৭তম মিনিটে চেলসির একটি আক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টায় সিটির মিডফিল্ডার কোভাচিচের প্রসারিত হাতে বল লাগে, ওঠে পেনাল্টির আবেদন। যদিও রেফারির সাড়া মেলেনি, ভিএআরেও বদলায়নি মাঠের সিদ্ধান্ত।একক নৈপুণ্যে ৮৪তম মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে জয়টা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন কোভাচিচ। সাইডলাইন থেকে সতীর্থের পাস ধরে, অনেকটা এগিয়ে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার।২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত চেলসিতে খেলা কোভাচিচ গোল করে উদযাপন করতে চাননি; তবে তাকে ঘিরেই হলান্ড-সিলভারা মেতে ওঠেন উল্লাসে।