স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৫ আগস্ট: রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে বহু প্রতীক্ষিত অভিষেক ম্যাচে গোল উপহার দিয়েছেন এমবাপে। উপলক্ষ তার জন্য আরও স্মরণীয় হয়ে উঠেছে দলের জয়ে। আতালান্তাকে ২-০ গোলে হারিয়ে বুধবার উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা জিতেছে রেয়াল মাদ্রিদ। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ইউরোপিয়ান ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছেন এমবাপে।দ্বিতীয়ার্ধে ফেদে ভালভের্দে রেয়ালকে এগিয়ে নেওয়ার পর গোল করে ব্যবধান আরও বাড়ান এমবাপে। চেনা উদযাপনে মেতে ওঠেন তিনি। তাকে ঘিরে উল্লাসে মেতে ওঠেন সতীর্থরা।
সেই সতীর্থদের একজন বেলিংহ্যাম। তার পাস থেকেই গোলটি করেন এমবাপে। গত মৌসুমে অসাধারণ পারফর্ম করা এই ইংলিশ তরুণ নতুন মৌসুমের শুরুটাও করলেন দারুণ। গোল না করলেও ম্যাচের সেরা তিনিই।তবে সবটুকু আলো এ দিন যেন এমবাপেকে ঘিরেই। বেলিংহ্যামও বললেন, রেয়ালের নতুন তারকার কাছেই এমন কিছুই প্রত্যাশিত তাদের।“খেলার আগে আমরা এটা নিয়ে (এমবাপে গোল করবেন কি না) কোনো কথাই বলিনি। আমাদের স্রেফ প্রত্যাশা ছিল এটি হবেই।”“সে এমন একজন ফুটবলার, যে নিজের ইতিহাস নিজেই লিখতে জানে। সবসময়ই সে দলের জন্য নিজেকে মেলে ধরে এবং আজকেও তা করেছে।”
রেয়াল মাদ্রিদে আসার আগেই এমবাপে মহাতারকা। বিশ্বকাপ জিতেছেন, বিশ্বকাপে রানার্স আপ হয়েছেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছেন, ব্যক্তিগত পুরস্কার জিতেছেন অসংখ্য। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন হিসেবে। তাকে নতুন করে জানার ও বোঝার আছে হয়তো সামান্যই। কাছ থেকে তাকে দেখে তবু আরও বেশি মুগ্ধ হয়ে চলেছেন বেলিংহ্যাম।
“এমবাপে তো এখানে আসার আগে থেকেই দুর্দান্ত। এখন যখন তার সঙ্গে খেলার ও তাকে কাছ থেকে বিস্তারিত দেখার সুযোগ পাচ্ছি… তার গতি, মান, বল ছাড়া তার যে বিচরণ, যেরকম এক নেতা সে, যেভাবে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রচনা করে… সবকিছুই দারুণ।”“তাকে নিয়ে যত প্রশংসাই করি, কম হবে। তার এখানে আসার সম্ভাবনা নিয়ে লোকে কথা বলছে অনেক দিন ধরেই। তাই মনে হচ্ছে যেন, সে এখানে অনেক দিন ধরেই আছে। চমৎকারভাবে দলে মানিয়ে নিয়েছে সে।”দলে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটি বললেন আনচেলত্তিও। এমবাপে রেয়ালে যোগ দেওয়ার পর সবচেয়ে বেশি কৌতূহল ছিল, তারকায় ঠাসা রেয়ালের আক্রমণভাগে কীভাবে নতুন তারকাকে ব্যবহার করেন কোচ। আতালান্তার বিপক্ষে দুই পাশে ভিনিসিউস ও রদ্রিগোর সঙ্গে মাঝখানে এমবাপেকে রেখে আক্রমণাত্মক একাদশ সাজান আনচেলত্তি।এমবাপে যেভাবে শুরু করেছেন এবং দল যেভাবে খেলেছে, তাতে খুশি রেয়াল কোচ।
“এমবাপে সত্যিই ভালো করেছে। দলে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে সে। ভিনিসিউস ও বেলিংহ্যামের সঙ্গে তার সমন্বয় ছিল চমৎকার। আমাদের দলের মান তো এমনিতেই দুর্দান্ত। তবে মান যতই ভালো হোক, মাঠে নেমে খেলতে হয় দল হিসেবে এবং আমরা তা পেরেছি।”আনচেলত্তির একটি ব্যক্তিগত অর্জনও ধরা দিয়েছে এই জয়ে। রেয়াল মাদ্রিদকে সবচেয়ে বেশি ট্রফি জেতানো কোচের রেকর্ডে তিনি স্পর্শ করেছেন মিগেল মুনিয়সকে। আনচেলত্তির কোচিংয়ে ১৪টি ট্রফি জিতল রেয়াল। ১৯৬০ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত মুনিয়সের কোচিংয়ে ৯টি লা লিগা ও ২টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ১৪টি ট্রফি জিতেছিল রেয়াল।