স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩০ জুন: ইউরোতে শনিবার শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ডেনমার্ককে ২-০ গোলে হারায় জার্মানি। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে রাখে তারা। নাগেলসমানের মতে, প্রথম ২০ মিনিট ছিল তাদের জন্য ‘পুরা টুর্নামেন্টে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্সে।’ এরপর অবশ্য কিছুটা লড়াই করে ডেনিশরাও। তবে শেষ পর্যন্ত জার্মানদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তারা।
এবারের ইউরো হচ্ছে জার্মানিতে। ঘরের মাঠে টুর্নামেন্ট হওয়ায় স্বাগতিকদের নিয়ে বাড়তি প্রত্যাশা শুরু থেকেই ছিল সমর্থকদের। শেষ ষোলো পার করায় স্বাভাবিকভাবেই সেটি বেড়ে গেছে আরও।ম্যাচ শেষে নাগেলসমান বললেন, সমর্থক ও তাদের প্রত্যাশাই জার্মানিকে আরও ভালো করতে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। তার মতে, প্রত্যাশার এই চাপের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন জার্মান খেলোয়াড়রা।“আমি মনে করি, আমাদের ওপর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চাপ নেই। আমার মনে হয়, সমর্থকরা এবং তাদের প্রত্যাশা আমাদের জন্য তাড়নার অনেক বড় রসদ।”
“আমরা চাপ সামলাতে পারব। আমার জন্য, এটি এখনও সৌভাগ্যের বিষয়। আমরা খেলোয়াড়দেরও বলি যে চাপের মধ্যে ফুটবল ম্যাচ খেলতে পারাটা সৌভাগ্যের। সব খেলোয়াড়ই এটা মোকাবেলা করতে অভ্যস্ত, তাই এটা কোনো সমস্যা নয়।”গোলশূন্য প্রথমার্ধ শেষ করা ডেনমার্কের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা কাটে বেশ খারাপ ও হতাশার। বিশেষ করে ইওয়াখিম আন্দেরসনের জন্য। ৪৮তম মিনিটে জটলার মধ্যে থেকে জালে বল পাঠিয়েও গোল পাননি তিনি সতীর্থ অফসাইডে থাকার কারণে। তিন মিনিট পর বক্সে তারই হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় জার্মানি।দারুণ স্পট কিকে ডেডলক ভাঙেন কাই হাভার্টজ, এগিয়ে যায় জার্মানি। এরপর দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান বাড়ান জামাল মুসিয়ালা।
ডেনমার্কের সেই অফসাইড ও পেনাল্টি নিয়ে কথা বলেন জার্মান কোচ নাগেলসমান।“আমি বুঝতে পারছি, ডেনমার্ক খুব বিরক্ত (পেনাল্টির সিদ্ধান্তে)। এটা বেশ খুবই কষ্টকর কিন্তু নিয়মটা এমনই। হ্যাঁ, (আন্দেরসন) শুধু দৌড়েছে, সে এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করেনি, কিন্তু এটাই নিয়ম।”“সুতরাং এটি যদি অন্য উপায়ে হয় তবে আমিও বিরক্ত হব, তবে আমাকে নিয়মটি মেনে নিতে হবে।”