স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩০ জুন: দ্বিতীয়ার্ধে ওই পেনাল্টি থেকে গোল করে জার্মানিকে এগিয়ে নেন কাই হাভার্টজ। এরপর জামাল মুসিয়ালার গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন স্বাগতিকরা। ইউরোর শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ২-০ গোলে জিতে কোয়ার্টার-ফাইনালে জায়গা করে নেয় তারা।ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে জটলার মধ্যে থেকে জার্মানির জালে বল পাঠান ইওয়াখিম আন্দেরসন। কিন্তু তার সতীর্থ অফসাইডে থাকায় গোলটি বাতিল করে দেয় ভিএআর। ‘সামান্য ব্যবধানের’ জন্য গোল না পাওয়ায় ভীষণ হতাশ হিউমান্দ।
গোল না পাওয়ার তিন মিনিট পর উল্টো বিপদে পড়ে ডেনমার্ক। সেখানেও জড়িয়ে আন্দেরসনের নাম। ডি-বক্সে তার হাতেই লেগেছিল বল। ভিএআরের পেনাল্টির সিদ্ধান্তটি মানতেই পারছেন না হিউমান্দ। হ্যান্ডবলের এমন নিয়ম নিয়ে বিদ্রুপ করতেও ছাড়েননি ডেনিশ দলটির কোচ।“ভিএআরের দুটি সিদ্ধান্তে ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে। আমার কাছে ছবিটা আছে- এটা ছিল এক সেন্টিমিটার। এর কোনো মানে হয় না। এভাবে আমাদের ভিএআর ব্যবহার করার কথা নয়, এটা এক সেন্টিমিটার এবং কয়েক মিনিট পর পেনাল্টি হয়।”
“হ্যান্ডবলের হাস্যকর নিয়মে আমি ক্লান্ত। আমাদের ডিফেন্ডাররা এভাবে (অঙ্গভঙ্গি দেখিয়ে) হাত নিয়ে দৌড়াবে, এটা আমরা চাইতে পারি না। ইওয়াখিম স্বাভাবিকভাবে দৌড়াচ্ছিল… সে লাফিয়ে উঠে এবং এক মিটার দূর থেকে তার হাতে লাগে বল। আমি খুব কমই এই সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে কথা বলি, কিন্তু এই ম্যাচের জন্য এগুলো নির্ধারক ছিল। এটা আমাদের দলের জন্য হতাশাজনক। ১-০ গোলে এগিয়ে থাকলে সবকিছু বদলে যেত।”ভিএআর নিয়ে হতাশা থাকলেও এই প্রযুক্তি ভালো লাগে হিউমান্দের। তবে এখানে কিছু জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন দেখছেন তিনি।“আমি সবসময়ই ভিএআর পছন্দ করি। আমার মনে হয়, এই প্রযুক্তি খেলাধুলার জন্য ভালো কিছু করতে পারে। এটাও মনে, প্রযুক্তিটি আরও দ্রুত হওয়া উচিত। এটাকে উন্নত করার একটা উপায় বের করতে হবে। সাধারণত, ভিএআর একটি ভালো ব্যাপার, কিন্তু কখনও কখনও এটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতে পারি।”