Monday, December 23, 2024
বাড়িখেলা‘জঘন্য সিদ্ধান্ত’, রেয়ালের বিপক্ষে হেরে রেফারিং নিয়ে ফুঁসছে বায়ার্ন

‘জঘন্য সিদ্ধান্ত’, রেয়ালের বিপক্ষে হেরে রেফারিং নিয়ে ফুঁসছে বায়ার্ন

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৯ মে: ম্যাচের স্কোরলাইন ২-১। কিন্তু বায়ার্ন মিউনিখের দাবি, এটা ২-২ হওয়া উচিত ছিল। একদম শেষ সময়ে মাটাইস ডি লিখট বল জালে পাঠিয়েছিল। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোল দেওয়া হয়নি। সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রবল ক্ষুব্ধ বায়ার্ন মিউনিখ। ম্যাচ শেষে রেফারি ও লাইন্সম্যানকে ধুয়ে দিলেন কোচ টমাস টুখেল ও ডিফেন্ডার ডি লিখট।তিন মিনিটের মধ্যে হোসেলুর জোড়া গোলে তখন রেয়াল মাদ্রিদ নাটকীয়ভাবে এগিয়ে গেছে ম্যাচের শেষ সময়ে। সেই ধাক্কা সামলে বায়ার্ন চেষ্টা করছিল ঘুরে দাঁড়াতে। সেই প্রচেষ্টাতেই বল জালে পাঠান ডি লিখট। কিন্তু তিনি শট নেওয়ার আগেই লাইন্সম্যানের পতাকা উঠে যায়, বেজে যায় রেফারির বাঁশি। রেয়ালের ফুটবলাররাও খেলা থামিয়ে দেন। শট নিতে তাই খুব একটা বাধার মুখে পড়েননি ডি লিখট।বায়ার্নের ফুটবলাররা প্রতিবাদ করলেও অফসাইডের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন রেফারি। রিপ্লে দেখে ধারাভাষ্যকাররা তাৎক্ষনিকভাবে বলছিলেন, অফসাইডের সিদ্ধান্তই সঠিক।

তবে ডি লিখট তা মানতে নারাজ। ম্যাচজুড়ে দারুণ খেলা এই ডিফেন্ডার ম্যাচের পর বললেন, দুই দলের ক্ষেত্রে একইরকম ঘটনায় সিদ্ধান্ত ছিল দু ইরকম। “নিয়মটা আমরা সবাই জানি এবং এটা পরিষ্কার যে, নিশ্চিত অফসাইড না হলে খেলা চলতে থাকবে। এটাই নিয়ম! জঘন্য একটা সিদ্ধান্ত ছিল। হোসেলু যে গোল করল, সেটাও তো প্রায় অফসাইড ছিল, কিন্তু তারা খেলা চালিয়ে যেতে দিয়েছে। তাহলে আমাদেরকে কেন দেয়নি?”ম্যাচ শেষে লাইন্সম্যান তার কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন বলেও দাবি করেন ডি লিখট। লাইন্সম্যানের ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারটি বললেন টুখেলও। তবে তার ক্ষোভ তাতে প্রশমিত হচ্ছে না একটুও। রেফারি-লাইন্সম্যানের দিকে সরাসরিই আঙুল তুললেন বায়ার্ন মিউনিখ কোচ। 

“আমার মনে হয়, এটা বেশ পরিষ্কার এবং এখানে কোনো সংশয়ই নেই যে, এই সিদ্ধান্ত আধুনিক ফুটবলের বিরুদ্ধে। খুবই বাজে, একদমই বিপর্যস্ত সিদ্ধান্ত। রেয়ালের দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে, তারা (রেফারিরা) খেলা চালিয়ে যেতে দিয়েছে। নিয়মে পরিষ্কার আছে, খেলা চলতে থাকবে। প্রথম ভুলটা করেছে লাইন্সম্যান, দ্বিতীয় ভুল রেফারির।”“খুবই কঠিন (মেনে নেওয়া)… খেলাধুলার মানুষ হিসেবে অবশ্যই এসব আমাদেরকে মেনে নিতেই হয়। তবে এটা সেমি-ফাইনাল, এখানে এরকম দুটি ভুল গ্রহণযোগ্য নয়। এসব ম্যাচে সবাইকে নিজের চূড়ায় থাকতে হয়, রেফারিরাও এর বাইরে নয়। এরকম কিছুই আমরা প্রত্যাশা করি। ক্ষমা চেয়ে তাই লাভ নেই।”

৮৭ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ফাইনালে যেতে না পারার আক্ষেপ পোড়াচ্ছে টুখেলকে। রেয়ালের সমতা ফেরানো গোলটি এসেছে অভিজ্ঞ গোলকিপার ও বায়ার্নের অনেক লড়াইয়ের নায়ক মানুয়েল নয়ারের বাজে এক ভুল থেকে। সেই আক্ষেপ আছে কোচের। পাশাপাশি রেফারির সিদ্ধান্ত যেন তার কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়েছে। “আমরা প্রায় পৌঁছেই গিয়েছিলাম (ফাইনালে), একদম নাগালেই ছিল। এরপর আমাদের সেরা ফুটবলার অস্বাভাবিক একটু ভুল করে ফেলায় খেলায় সমতা ফিরল, এরপর আমরা আরেকটি গোল হজম করলাম যোগ করা সময়ে।”“এরপর আমরাও গোল করেছিলাম, কিন্তু লাইন্সম্যান ও রেফারি জঘন্য একটি সিদ্ধান্ত দিলেন। দিনশেষে মনে হচ্ছে, আমাদের সঙ্গে যেন বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।”

রেয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি অবশ্য রেফারির সিদ্ধান্তে ভুল কিছু দেখছেন না। বরং নিজেদের একটি না পাওয়া গোলের কথা তুলে ধরলেন তিনি। “ব্যাপারটি তো পরিষ্কার, লাইন্সম্যান পতাকা তুলেছে, রেফারি বাঁশি বাজিয়েছেন এবং আমরা খেলা থামিয়ে দিয়েছি। তারা যদি এটা নিয়ে অভিযোগ করে, আমরাও তো নাচোর বাতিল হওয়া গোলের কথা বলতে পারি। কারণ সেখানে কিমিখ ডাইভ দিয়েছিল, দুজনই পরস্পরকে ধাক্কা দিচ্ছিল।”আলফুঁস ডেভিসের দুর্দান্ত গোলে বায়ার্ন এগিয়ে যাওয়ার পরপরই জার্মান দলটির জালে বল পাঠিয়েছিল রেয়াল। কিন্তু জসুয়া কিমিখকে মুখে ধরে নাচো ফের্নান্দেস ফেলে দেওয়ায় ভিএআর দেখে গোল দেননি রেফারি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য