স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৩ মার্চ : কাজটা একেবারেই সহজ ছিল না রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের । স্বয়ং মহেন্দ্র সিং ধোনির জুতোয় পা গলানোর দায়িত্ব এসে পড়েছে তাঁর কাঁধে। কিন্তু সব সময় পাশে পেয়েছেন পুরনো অধিনায়ককে। রুতুরাজের নেতৃত্বে আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাই ৬ উইকেটে হারাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। অধিনায়কত্বের শুরুটা হল জয় দিয়েই।
এ বছর আইপিএল শুরুর আগে আচমকাই অধিনায়কত্ব ছাড়েন ধোনি। টিমের ব্যাটন তুলে দেন রুতুরাজের হাতে। তাই চেন্নাইয়ের চিপকে প্রতি মুহূর্তে ক্রিকেট মহলের আতসকাচের তলায় ছিলেন ২৭ বছর বয়সি ব্যাটার। ধোনি মাঠে থাকার সময় কীভাবে টিমকে চালনা করেন রুতুরাজ, সবার নজর ছিল সেদিকে। সেই পরীক্ষায় অবশ্য সম্মানের সঙ্গে পাশ করলেন তিনি। মুস্তাফিজুর রহমানের চার উইকেট এবং রাচিন রবীন্দ্রের ঝোড়ো ৩৭ রানের দাপটে ফাফ দু প্লেসির দলকে সহজেই হারায় চেন্নাই সুপার কিংস।
রুতুরাজ যদিও অধিনায়কত্বের চাপ নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবেননি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “আমি প্রতি মুহূর্তে নেতৃত্ব দেওয়া উপভোগ করেছি। কখনওই কোনও বাড়তি চাপ অনুভব করিনি। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা আমার আগেই ছিল। আর মাহিভাই সব সময়ই আমার পাশে ছিল।” ম্যাচেও দেখা যায়, ফিল্ডিং সাজানোয় নতুন অধিনায়ককে সাহায্য করেছেন ধোনি। পাওয়ার প্লে-তে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে এসে রুতুরাজ বুঝিয়ে দেন অধিনায়ক হিসেবে তাঁর মাথাটা কতটা পোক্ত। ২৯ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশি বোলার।
২০০৮ সাল থেকে চেন্নাইয়ের অধিনায়কত্ব সামলে এসেছেন ধোনি। তাঁর নেতৃত্বে পাঁচটা ট্রফি জিতেছে হলুদ জার্সিধারীরা। ২০২২-এ অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজার হাতে টিমের দায়িত্ব তুলে দিলেও মাঝপথে ফের অধিনায়কের আর্মব্যান্ড তুলে নিতে হয় থালাকে। এবার অবশ্য প্রতিযোগিতার শুরুতে নিজেকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে নেন মাহি। নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে স্বমহিমায় অভিযান শুরু করল গত বারের বিজয়ীরা।