স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,১৭ ফেব্রুয়ারি: স্টয়নিসের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন আরেক আগ্রাসী পেস বোলিং অলরাউন্ডার ও তার ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান সতীর্থ অ্যারন হার্ডি। গত রোববার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে গা গরমের সময় পিঠে অস্বস্তি অনুভব করেন স্টয়নিস। ওই ম্যাচ যদিও তিনি উতরে যান পিঠের জড়তা নিয়েই। ব্যাট হাতে ১৬ রান করেন সেদিন তিনি, বল হাতে উইকেট নেন ৩টি। পরে পার্থে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে খেলতে পারেননি তিনি। ৩৪ বছর বয়সী অলরাউন্ডার এবার ছিটকে গেলেন নিউ জিল্যান্ড সফর থেকে।স্টয়নিসের বদলে ক্যারিবিয়ানদেরবিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে খেলেছিলেন হার্ডি। তার সুযোগ আসছে নিউ জিল্যান্ডেও। ২৫ বছর বয়সী অলরাউন্ডার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এখনও পর্যন্ত ৪ ওয়ানডে ও ৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।
স্টয়নিস সম্প্রতি বাদ পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দল থেকে। তবে টি-টোয়েন্টিতে অলরাউন্ড সামর্থ্যের কারণে এখনও দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ তিনি। ব্যাটিংয়ে তিনি যে কোনো পজিশনে খেলতে পারেন। বোলিংয়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন সম্প্রতি। পাওয়ার প্লে থেকে শুরু করে মাঝের ওভার, এমনকি শেষের দিকেও বোলিং করেন অনেক সময়। নিউ জিল্যান্ড সফরে না থাকলেও আগামী মাসে আইপিএলে খেলবেন তিনি। বিশ্বকাপের অস্ট্রেলিয়া দলের ভাবনায়ও থাকবেন প্রবলভাবেই। নিউ জিল্যান্ড সিরিজের প্রথম ম্যাচটি খেলতে পারবেন না ম্যাথু ওয়েডও। তৃতীয় সন্তান জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকবেন তিনি। পরের দুই ম্যাচে অবশ্য এই কিপার-ব্যাটসম্যান খেলতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।অস্ট্রেলিয়া দুর্ভাবনায় আছে আগ্রাসী স্পিনিং অলরাউন্ডার ম্যাথ শর্টের চোট নিয়েও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানপে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট লাগার পর শেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে পারেননি তিনি। নিউ জিল্যান্ড সফরের দলে তিনি থাকলেও পুরো ফিট হওয়া নিয়ে শঙ্কা আছে কিছুটা। অধিনায়ক মিচেল মার্শের অ্যাঙ্কেলের চোট নিয়েও একটু অস্বস্তি আছে দলে। তবে একটা সুখবর তাদের জন্য, চোট কাটিয়ে আপাতত মাঠে নামার জন্য তেরি পেসার ন্যাথান এলিস। নিউ জিল্যান্ডে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি শুরু আগামী বুধবার।