Saturday, January 25, 2025
বাড়িখেলাবেলিংহ্যামের মতো উদযাপন প্রসঙ্গে ব্রাহিম, ‘আমি ওকে ভালোবাসি’

বেলিংহ্যামের মতো উদযাপন প্রসঙ্গে ব্রাহিম, ‘আমি ওকে ভালোবাসি’

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,১৪ ফেব্রুয়ারি: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে মঙ্গলবার ব্রাহিমের গোলেই আরবি লাইপজিগের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফেরে রেয়াল। হতাশাজনক প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোল করেন তিনি, যেটি শেষ পর্যন্ত হয়ে থাকে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারক। সেই গোলটিও ছিল দেখার মতো। ডান দিকে টাচলাইনে কাছে বল পেয়ে চোখের পলকে প্রতিপক্ষের কয়েকজনকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ব্রাহিম। এরপর আচমকা কোনাকুনি শট নেন। সেই গোলা দূরের পোস্ট দিয়ে আশ্রয় নেয় জালে। গোলের পর সহজাত উদযাপনে ছুটে গিয়ে ছোট্ট লাফ দেন তিনি। এরপরই দুহাত প্রসারিত করে উদযাপন করেন, যা এখন বেলিংহ্যামের চেনা উদযাপন। ব্রাহিমের সঙ্গে একইরকম উদযাপনে যোগ দেন ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগোরাও। চোটের কারণে এই ম্যাচটি খেলতে পারেননি বেলিংহ্যাম। তবু মাঠে তাকে ফুটিয়ে তুললেন ব্রাহিম ও সতীর্থরা। রেয়ালের মতো এত বড় ক্লাবে প্রথম মৌসুমেই কতটা প্রভাব রাখতে শুরু করেছেন বেলিংহ্যাম এবং দলে কতটা জনপ্রিয় তিনি, সেটিই যেন ফুটে ওঠে এতে। 

ব্রাহিমের গোলের পরই বেলিংহ্যাম সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন, “ওহ মাই গড ব্রাহিম…।” ম্যাচের পর মুভিস্টারের সঙ্গে কথোপকথনে বেলিংহ্যামের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা জানান ব্রাহিমও। “আমি ওকে ভালোবাসি। আমাদের সম্পর্ক দারুণ, একদম প্রথম থেকেই ওর সঙ্গে আমার খুব জমে গেছে। স্প্যানিশ শেখায় ওকে সাহায্য করছি আমি।” “ও বিশ্বমানের ফুটবলার। ওর সঙ্গে খেলাটা দারুণ উপভোগ করি আমি। ফুটবলে তার ঐশ্বরিক সামর্থ্যের বাইরে মানুষ হিসেবেও অসাধারণ ও।” নিজের গোলটি নিয়ে ব্রাহিম বললেন, সবকিছুই সহজাতভাবেই হয়ে গেছে তখন। “বল পাওয়ার পর দৌড়াতে শুরু করি আমি। খেয়াল করছিলাম, ওরা কাছে আসতে দ্বিধায় ভুগছে, একটু সরে গিয়ে আটকানোর চেষ্টা করছিল আমরা। সেটা বুঝেই বল নেটে পাঠিয়ে দেই।” “একদমই তাৎক্ষনিক ছিল এটা। একবার ভেবেছিলাম ভিনিসিউসকে দেব বল। তবে শেষ পর্যন্ত আমিই শট নিলাম। ভালো গোল ছিল।” বেলিংহ্যামসহ চোটের কারণে একগাদা ফুটবলারকে না পেয়েও যেভাবে ছুটে চলেছে রেয়াল, এই ক্লাবের শ্রেষ্ঠত্বকেই তা ফুটিয়ে তুলছে বলে মনে করেন ব্রাহিম। 

“জুডের অভাব আমরা অনুভব করেছি। এছাড়া রুডিগার ও আরও যারা অনেক দিন ধরে চোটের কারণে মাঠের বাইরে, সবাইকে মিস করেছি। তবে আমরা ম্যাচের পর ম্যাচ দেখিয়ে যাচ্ছি কতটা অসাধারণ দল আমরা। দেখিয়ে দিচ্ছি, আমরা রেয়াল মাদ্রিদ।” ম্যাচের শেষ দিকে অবশ্য চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ব্রাহিম নিজেও। ব্রাহিমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ কার্লো আনচেলত্তিও। ২০১৯ সালে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে রেয়ালে নাম লেখান ব্রাহিম। পরের বছর তাকে ধারে এসি মিলানে পাঠায় স্প্যানিশ ক্লাবটি। মিলানে দারুণ পারফরম্যান্সে ইতালিয়ান ফুটবল রাঙান তিনি। এই মৌসুমের আগে দলে নানা পরিবর্তনের পালায় ব্রাহিমকে ফিরিয়ে আনে রেয়াল। শুরুতে ব্রাহিমের ওপর ততটা ভরসা করতে পারছিলেন না আনচেলত্তি। সেই কোচই এখন দারুণ মুগ্ধ। “মিলানে দুই বছর কাটিয়ে আসার পর তাকে আরও পোক্ত মনে হচ্ছে। মানসিকতা আরও শক্তিশালী। মৌসুমের শুরুতে খুব বেশি সুযোগ পায়নি খেলার। তবে যখনই সুযোগ মিলেছে, সে সবসময়ই অবদান রেখেছে। আজকে তো চোখধাঁধানো গোল করেছে।” “গোলটা করার আগে মনে মনে বলছিলাম, ‘বল হারিয়ো না…’ এবং সে বল হারায়নি।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য