স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২ ফেব্রুয়ারি: গেতাফের মাঠে দুই অর্ধে হোসেলুর দুটি গোলেই বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ এক জয় আদায় করে নিয়েছে রেয়াল মাদ্রিদ। শিরোপা পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এই জয় দিয়েই পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে তারা।এই ম্যাচের জোড়া গোলে চলতি লা লিগায় হোসেলুর গোল এখন ৭টি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রেয়ালের জার্সিতে এই মৌসুমে তার গোল এখন ১২টি। নিয়মিত একাদশে যার সুযোগ হয় না, বেশির ভাগ ম্যাচেই বদলি হিসেবে অল্প সময়ের জন্য মাঠে নামেন, তার জন্য এই পরিসংখ্যান দারুণই বলতে হবে।১৫ বছরের বেশি সময় ধরে পেশাদার ফুটবল খেলছেন হোসেলু। কিন্তু এতটা পাদপ্রদীপের আলোয় আগে আসেননি তিনি।সেই ২০০৮ সালে সেল্তা ভিগোর ‘বি’ দলে শুরু করে মূল দল হয়ে রেয়াল মাদ্রিদের ‘বি’ দলে আসেন তিনি। পরে ২০১১-১২ মৌসুমে ছিলেন রেয়াল মাদ্রিদের মূল দলেও।
ম্যাচ খেলার সুযোগ যদিও পেয়েছেন সামান্য। পরে বুন্ডেসলিগা ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ৫ ক্লাব ঘুরে আবার থিতু হন লা লিগায়। আলাভেসে তিন মৌসুম খেলে ২০২২ সালে নাম লেখান এস্পানিওলে।এই ক্লাবের হয়ে গত মৌসুমে বেশ ভালো পারফর্ম করেন তিনি। মৌসুম শেষে ক্লাবটি লা লিগা থেকে নেমে গেলে হোসেলুকে ধারে নিয়ে আসে রেয়াল।তার কাছে যে প্রত্যাশা ছিল, তা যে তিনি পূরণ করে চলেছেন, তা ফুটে উঠল আনচেলত্তির প্রতিক্রিয়ায়। গেতাফের ম্যাচের পর তো এই স্ট্রাইকারকে ক্লাবে রেখে দেওয়ার ইঙ্গিতও দিলেন রেয়াল কোচ। “এখানে থেকে যাওয়ার জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই সে করছে। অসাধারণ খেলছে সে। তার মানের একজন স্ট্রাইকারকে পাওয়া আমাদের জন্য আশীর্বাদ। সে আলাদা ঘরানার, সবসময়ই প্রস্তুত থাকে। যখনই মাঠে নামে, দলকে সহায়তা করে। তাকে নিয়ে আমরা সবাই উচ্ছ্বসিত।”গেতাফের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ দিকে হলুদ কার্ড দেখানো হয় আনচেলত্তিকে। এটা নিয়ে অবশ্য কথা বলতে খুব একটা আগ্রহী হলেন না তিনি।
“সে (রেফারি) আমাকে কার্ড দিয়েছে… তবে এটা নিয়ে কথা বলার সময় এখন নয়। ম্যাচটি দারুণ ছিল, ফলাফল আমাদের জন্য দারুণ। এখন আমা কার্ড নিয়ে কথা বলার সময় নয়।”এই ম্যাচের জয়ে ২২ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রেয়াল। সমান ম্যাচে দুই পয়েন্ট পেছনে থেকে দুইয়ে এই মৌসুমের চমক জিরোনা।পরের দুটি ম্যাচ রেয়ালের জন্য দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। আগামী রোববার তারা মাঠে নামবে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে। পরের ম্যাচটি শিরোপা লড়াইয়ের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী জিরোনার সঙ্গে।শিরোপা লড়াইয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে এই দুটি ম্যাচের ফল। আনচেলত্তি অবশ্য এখানেই শিরোপার ফয়সালা দেখছেন না। হয়তো দলকে বাড়তি চাপ তিনি দিতে চান না।“পরের ম্যাচ দুটি যদি আমরা জিততে পারি, ছয় পয়েন্ট পাব এবং আমাদের জন্য তা ভালো হবে। ব্যস, এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। আমরা ভালো একটি সময়ে আছি, ভালো ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছি, ভালো খেলছি। আপাতত ডার্বির জন্য (আতলেতিকোর সঙ্গে) প্রস্তুত হওয়া যাক।”