স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২৭ জুন: প্রায় এক যুগের টেস্ট ক্যারিয়ার তার। ৭৮ ম্যাচে প্রাপ্তি ৩১০ উইকেট। এই তথ্যগুলো বলছে, অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের বড় অস্ত্র স্টার্ক। কিন্তু ইংল্যান্ডে এখন বাস্তবতাটা ভিন্ন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশটিতে সবশেষ সফরে ২০১৯ সালের সিরিজে ৫ টেস্টের স্রেফ ১টিতে খেলতে পেরেছিলেন তিনি।সেই সিরিজে ৫ টেস্টের সবকটি খেলেছিলেন প্যাট কামিন্স, ৪টি খেলেছিলেন জশ হেইজেলউড। পিটার সিডল খেলেছিলেন ৩টি, জেমস প্যাটিনসন দুটি। বাঁহাতি বৈচিত্র নিয়েও স্টার্ক একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন কেবল চতুর্থ টেস্টে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেন তিনি, পরের ইনিংসে নেন ১টি। শেষ টেস্টে আবার বাইরে রাখা হয় তাকে।অথচ ২০১৫ সালের সফরে ৫ টেস্টের সবকটিতেই ছিলেন স্টার্ক। ২০১৩ সালের সফরে খেলেন ৩ টেস্ট। ইংল্যান্ডে সব মিলিয়ে তার রেকর্ডও খারাপ নয়। এখানে ১০ টেস্ট খেলে নিয়েছেন ৩৭ উইকেট। তবে গত সফর থেকেই তাকে ঘিরে বদলে গেছে পরিকল্পনা ও বাস্তবতা।এবার ইংল্যান্ড সফরে কিছুদিন আগে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তিনি খেলার সুযোগ পান। দুই ইনিংসে দুটি করে উইকেট নেন। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে আউট হরেন বিরাট কোহলিকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন ব্যাট হাতে। কিন্তু অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে এজবাস্টনে কামিন্সের সঙ্গে স্কট বোল্যান্ড ও চোট কাটিয়ে ফেরা হেইজেলউডকে নিয়ে পেস আক্রমণ সাজায় অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় টেস্টের আগে স্টার্ক বললেন, এমন কিছুর জন্য তিনি মানসিকভাবে প্রস্তুতই ছিলেন। “ইংল্যান্ডে এসে এরকম কিছুতে এখন আমি অভ্যস্ত হয়ে গেছি। স্কোয়াডের মানসিকতাই এরকম, সবশেষ সফরের মতোই। যথেষ্ট সময় ধরে খেলছি, যথেষ্ট বার বাদও পড়েছি। এই স্কোয়াডে সবচেয়ে বেশিবার বাদ মনে হয় আমিই পড়েছি। এটা তাই আমার জন্য নতুন কিছু নয়, শেষবারও নয়। অবশ্যই এটা ভালো লাগার মতো কিছু নয়, সবাই তো চায় খেলতে।”টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে চার উইকেট নিলেও অবশ্য বেশ খরুচে ছিলেন স্টার্ক। সেরা চেহারায় দেখা যায়নি তাকে, ছন্দের ঘাটতি ছিল স্পষ্ট। তবে এখন নিজেকে ফিরে পেয়েছেন বলেই বিশ্বাস তার।“বেশ ভালো অবস্থায় থেকেই ওই ম্যাচটিতে খেলতে গিয়েছিলাম আমি। তবে ঠিকমতো ছন্দ পাইনি। এরপর গত দুই সপ্তাহে বেশ ভালো কাজ করেছি ছন্দে ফিরতে। ওভালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পর আমরা সবাই বেশ ভালোভাবে এগিয়েছি এবং ওই ম্যাচজুড়ে যেমন ছিলাম, নিশ্চিতভাবেই এখন আরও কম জড়তা অনুভব করছি।”“আশা করি, যখন খেলব, তখন তা ভালো ফল দেবে। সবকিছুই ভালো আছে, স্রেফ সুযোগ এলে মাঠে কিছু সময় কাটানোর ব্যাপার এখন।”এজবাস্টন টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু বুধবার, লর্ডসে। এই টেস্টে বোল্যান্ডের জায়গায় দেখা যেতে পারে স্টার্ককে। কিংবা হেইজেলউডকে বিশ্রাম দিয়েও স্টার্ককে একাদশে রাখার কথা বিবেচনা করা হতে পারে।