স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,৪ মে: সম্পর্কের সুতাটা যে একটু আলগা, সেটি বোঝাই যাচ্ছিল। কিন্তু লিওনেল মেসির এক সিদ্ধান্তে সুতোটা পুরোপুরি ছিঁড়েই গেল। পিএসজি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই চলে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। উদ্দেশ্য, দেশটির পর্যটনদূত হিসেবে নিজের প্রতিশ্রুতি পালন করা। মেসির এমন একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত সহ্য হয়নি পিএসজির। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করেছে প্যারিসের ক্লাবটি।পিএসজি সমর্থকেরা ব্যাপারটিকে দেখছে আরও নেতিবাচক দৃষ্টিতে। বিশেষ করে মেসির প্রতি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে তারা। গতকাল মেসির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে রীতিমতো মিছিলই করেছে তারা। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, মেসিকে ‘ভাড়াটে খেলোয়াড়’ বলে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। প্রকাশ অযোগ্য ভাষায় গালিও দেওয়া হয়।
অনুশীলনকে পাত্তা না দিয়ে মেসির সৌদি আরব সফরকে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হিসেবে দেখছেন ক্লাব সমর্থকেরা। মেসির ক্লাবের প্রতি অর্থ ছাড়া আর কোনো টান নেই—তাঁদের ধারণা এমনই।এদিকে ফরাসি পত্রিকা লে’কিপের সাংবাদিক লোয়িস তানজি জানিয়েছেন, লরাঁর বিপক্ষে পিএসজি হেরে যাওয়াতেই আসলে মূল সমস্যার শুরু। ওই ম্যাচ জিতলে পরের দুই দিন পিএসজির কোনো অনুশীলন ছিল না। কিন্তু লরাঁর বিপক্ষে হারের পর বদলে যায় দৃশ্যপট। সোমবার অনুশীলন ঘোষণা করা হয়। এদিকে মেসি আগেই সৌদি আরবে যাওয়ার পরিকল্পনা করে বসে আছেন।২০২১ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে দুই বছরের চুক্তিতে পিএসজিতে যোগ দেন মেসি। কিন্তু ফরাসি ক্লাবে তাঁর দুই বছর মোটের ওপর ভালো যায়নি। টানা দুই মৌসুম পিএসজি চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছে। এদিকে গত ডিসেম্বরে ফ্রান্সকে এক শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে হারিয়ে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই মেসির সঙ্গে পিএসজির সম্পর্কটা বেসুরো। চুক্তি নবায়নের বিষয়ে নীতিগতভাবে ঐকমত্য থাকলেও মেসির চাহিদা নিয়ে পিএসজির আপত্তি থাকায় কাগজে সই এত দিন ঝুলে ছিল।যা এখন আর ঝোলার পর্যায়ে নেই, ঝরে পড়ে যাওয়ার পর্যায়ে আছে।