স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,,১৮ এপ্রিল: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে সোমবার লিডস ইউনাইডটেডকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেয় লিভারপুল। প্রথম গোলের জন্য যদিও তাদের অপেক্ষা করতে হয় ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। কোডি হাকপোর গোলে তারা এগিয়ে যায়। চার মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান মোহামেদ সালাহ।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একটি গোল শোধ করে দেয় লিডস। এরপরই দেখা যায় লিভারপুলের বিধ্বংসী রূপ। দিয়োগো জটা দলকে আরও এগিয়ে নেওয়ার পর আরেকটি গোল করেন সালাহ। এরপর দ্বিতীয় গোল করেন জটাও। শেষ দিকে জালের দেখা পান দারউইন নুনেস।সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৬ ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল লিভারপুল। এমনিতে অনেক সময় জয়ের পরও কিছু আক্ষেপ-খামতি থাকে। তবে এই ম্যাচ শেষে স্কাই স্পোর্টসকে ক্লপ বললেন, দলের পারফরম্যান্সে তিনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট।“আমার মনে হয়, ভিন্ন সব পরিপ্রেক্ষিত থেকেই এই মৌসুমে এটা আমাদের সেরা ম্যাচ। আমরা ওদেরকে বাধ্য করেছি অনেক ভুল করতে, চমকপ্রদ সব গোল করেছি, কাউন্টার-প্রেসিংয়ে ওদেরকে চাপে রেখেছি… সব মিলিয়ে অনেক দিনের মধ্যে আমাদের সেরা ম্যাচ।”
“কয়েকটি কঠিন মুহূর্তও ছিল। অযথাই একটি গোল হজম করেছি আমরা, তবে এসব হয়েই থাকে। ওই টুকটাক কিছু সময় ছাড়া সবটুকু নিয়ন্ত্রণ ছিল আমাদের।”সার্বিকভাবে মৌসুম ভালো না কাটলেও এর চেয়ে বড় ব্যবধানের জয় লিভারপুলের আছে। এই ম্যাচের আগে তাদের সবশেষ জয় ছিল যে ম্যাচে, গত ৫ মার্চ সেই লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করে দেয় তারা। এছাড়াও লিগে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৯-০, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৭-১ গোলের জয় আছে। তবু কেন লিডসের বিপক্ষে জয় সেরা, সেই ব্যাখ্যাও দিলেন ক্লপ।“গোল সংখ্যা নিয়ে আমার ভাবনা নেই। ৬ গোল করেছি বলেই এটা সেরা নয়। মূল ব্যাপারটি হলো পারফরম্যান্স, আমরা কেমন খেলেছি। এটি ছিল সার্বিকভাবে জয়ী পারফরম্যান্স। সঠিক সময়ে সাড়া দিতে পারলে আমরা পাল্টা আক্রমণে দুর্দান্ত হতে পারি। আমি জানি না, কেন আমাদের কাউন্টার-প্রেসিং কাজে লাগেনি (মৌসুমে আগের সময়টায়), তবে আজকে তা দারুণভাবে কার্যকর হয়েছে।”“আমি নিশ্চিত নই, বল কেড়ে নেওয়ার পর আমরা কয়টি গোল করতে পেরেছি… তবে আজকে এটিই মূল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।” “দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্স ছিল স্পেশাল, আমরা সত্যিই খুব ভালো খেলেছি। আমরা বল দখলে রেখেছি এবং খুব ভালো জায়গায় রাখতে পেরেছি নিজেদের। দুর্দান্ত কিছু গোল করেছি।” “আমার ও দলের জন্য মৌসুমটি ছিল ভীষণ কঠিন। গোলের দেখা পেয়ে তাই স্বস্তি পাচ্ছি। সবসময়ই আমার চাওয়া থাকে দলে সম্পৃক্ত থাকা। আজকে প্রথমার্ধে অ্যাসিস্ট করতে পেরেছি, পরে গোল পেয়েছি, সামনে আরও গোল করতে চাই।”জোড়া গোল করা দিয়োগেগা জটা গোলের দেখা পেলেন এক বছরের বেশি সময় পর। খরা কাটিয়ে পর্তুগিজ উইঙ্গার শোনালেন আরও গোলের আশাবাদ।এই জয়ের পরও ৩০ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার আটে আছে লিভারপুল। তাদের ঠিক ওপরে থাকা ব্রাইটনের পয়েন্ট এক ম্যাচ কম খেলেই ৪৯। চারে থাকা নিউক্যাসল ইউনাইটেডের চেয়ে ক্লপের দল পেছনে আছে ৯ পয়েন্টে।শীর্ষ চারে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা তাই এখন অনেকটাই কঠিন লিভারপুলের জন্য। ক্লপও সেদিকে না তাকিয়ে স্রেফ নিজেদের কাজটুকু করে রাখতে চান।“তারা (ওপরে থাকা দলগুলি) যদি সব ম্যাচ জিতে নেয় এবং আমরা আমাদের সব ম্যাচ জিতি, তাতেও আসলে কিছুই বদলাবে না। আমাদের সত্যিই খুব ভালো ফুটবল খেলে যেতে হবে। সেটা পারলে ফলাফল পক্ষে পাব আমরা এবং এরপর দেখব, পয়েন্ট তালিকায় আমাদের অবস্থান কোথায় থাকে।”লিভারপুলের পরের ম্যাচ শনিবার নিজেদের মাঠে নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে।