স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,৬ এপ্রিল: কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালে পিছিয়ে থেকে বুধবার প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে নেমেছিল রিয়াল। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে তারা হেরেছিল ১-০ গোলে। কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে কাম্প নউয়ে আনচেলত্তির দল মেলে ধরে ফুটবলের মাস্টারক্লাস। চোখধাঁধানো পারফরম্যান্সে ৪-০ গোলের জয়ে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা পৌঁছে যায় ফাইনালে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ভিনিসিউস জুনিয়র দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে হ্যাটট্রিক করেন করিম বেনজেমা। ২০১৪ সালের পর প্রথমবার কোপা দেল রের ফাইনালে ওঠে টুর্নামেন্টের ১৯বারের বিজয়ীরা। এই ম্যাচের আগে বার্সেলোনার সঙ্গে দুটি ম্যাচে হেরে গিয়েছিল রিয়াল। আনচেলত্তির কৌশল নিয়েও তখন প্রশ্ন উঠেছিল। এবার জয়ের পর সেটির জবাব দিলেন রিয়াল কোচ, বললেন নিজের ভালোলাগার
“এটা ছিল পরিপূর্ণ এক পারফরম্যান্স। পরিপূর্ণ না খেললে এখানে ৪-০ গোলে জেতা যায় না। প্রথমার্ধে যদিও আমাদের কিছুটা ভুগতে হয়েছে, তবে প্রথম গোলটি পাওয়ার পর সবকিছু বদলে যায়। এরপর আমরা আরও বিপজ্জনক কিছু সুযোগ তৈরি করি।” “যদিও আমরা সবশেষ দুটি ক্লাসিকো হেরে গিয়েছিলাম, তবে ওই ম্যাচগুলোতেও আমরা ভালো খেলেছিলাম এবং আত্মবিশ্বাস হারাইনি। ওই ম্যাচগুলোতে আমাদের যা কৌশল ছিল, এবারও কৌশল সেই একই ছিল। ছোটখাটো দু-একটি পরিবর্তন ছিল, যেমন সামনে রদ্রিগোকে খেলানো। মূল ব্যাপার হলো, দল আজকে সব জায়গায় নিজেদের মেলে ধরেছে-রক্ষণে, আক্রমণে এবং ফিনিশিংয়েও ছিল নিখুঁত। পারফেক্ট ম্যাচ ছিল এটি।” এই ম্যাচেও শুরুতে আনচেলত্তির সাজানো একাদশ দেখে ভ্রু কুঁচকে গিয়েছিল অনেকের। লুকা মদ্রিচ ও টনি ক্রুসকে একসঙ্গে একাদশে রাখা জন্ম দিয়েছিল প্রশ্নের। পারফরম্যান্সেই তারা উত্তর দিয়েছেন। আনচেলত্তি পরে ব্যাখ্যা করলেন সিদ্ধান্তের পেছনে তার ভাবনা। “এই ধরনের ম্যাচে মানসিকতা ও অভিজ্ঞতা সব দিক থেকেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি চেষ্টা করেছি একাদশে একটা মিশ্রণ রাখতে, রদ্রিগো, ভালভেরদে ও কামাভিঙ্গার প্রাণশক্তির সঙ্গে ভিনিসিউস, মদ্রিচ ও ক্রুসের অভিজ্ঞতার সমন্বয় করতে। এই ধরনের ম্যাচে ওরা স্নায়ুর চাপে কাবু হয় না।”
এমনিতে মিডফিল্ডার হলেও এই ম্যাচে কামাভিঙ্গাকে লেফট ব্যাকে খেলান আনচেলত্তি। ২০ বছর বয়সী এই ফরাসি অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স উপহার দেন কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়ে। তবে তাকে পাকাপাকিভাবে ডিফেন্ডার হিসেবে দেখছে না দল। “হ্যাঁ, আমরা এখনও এরকমই মনে করি (জরুরি পরিস্থিতি হলেই কেবর কামাভিঙ্গা রক্ষণভাগে খেলবে)। ওই পজিশনে আমাদের বাড়তি একজন বিকল্প বলা যায় তাকে। কামাভিঙ্গা এখনও বেশ তরুণ, সব পজিশনেই ভালো খেলছে। বিশেষ করে রাফিনিয়ার সঙ্গে ব্যক্তিগত লড়াইগুলোতে সে ছিল দুর্দান্ত।” আগামী ৬ মে সেভিয়ার মাঠে ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ ওসাসুনা। রিয়াল কোচ এখন ছবি আঁকছেন কোপা দেতল রেতে ক্লাবের ২০তম শিরোপার। “আমার মনে হয়, দারুণ আবহে দুর্দান্ত এক ফাইনাল হবে এটি। আমরা পেছন থেকে ঘুরে দাঁড়ানোয় এটা হবে আরও বিশেষ কিছু। আশা করি আমরা ফাইনাল জিতব এবং ট্রফি নিয়ে উদযাপন করব।”