স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,১৩ মার্চ: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে রোববার সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে ৩৪তম মিনিটে কার্লোস আলকারাসকে ফাউল করার পর ওভাবে কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কাসেমিরো। গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে হারানোর ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করে তারা।হলুদ কার্ড বদলে কাসেমিরোকে লাল কার্ড দেওয়া মানতেই পারছেন না টেন হাগ। উদাহরণ টেনে আনলেন তিনি অন্য ম্যাচের। চেলসির জোয়াও ফেলিক্সকে ঠিক এভাবে চ্যালেঞ্জ করেও পার পেয়ে গিয়েছিলেন লেস্টার সিটির রিকার্ডো পেরেইরা। আরও একটি জায়গায় নিজেদের বঞ্চিত মনে করছেন ইউনাইটেড কোচ। মার্কাস র্যাশফোর্ডের ক্রসে সাউথ্যাম্পটনের আর্মেল বেলা-কচাপের হাতে বল লেগেছিল বলেই বিশ্বাস তার, যেখানে তার মতে পাওনা ছিল পেনাল্টি।ম্যাচ শেষে এই সবকিছু নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন কোচ।“আমার মনে হয়, এটা চূড়ান্ত অধারাবাহিকতা। ফুটবলাররা বুঝে উঠতে পারছে না, প্রক্রিয়াটা কী! এই সপ্তাহান্তে লেস্টার ও চেলসির খেলায় ভিএআর ভূমিকা রাখেনি, কিন্তু আজকে একইরকম ব্যাপারে ঠিকই প্রভাব রাখল। আজকে দুটি পেনাল্টি পরিস্থিতিতে ভিএআরকে দেখা গেল না। বিশেষ করে প্রথমটি তো স্পষ্ট ও নিশ্চিত হ্যান্ডবল ছিল। তাহলে প্রক্রিয়াটা কি?”
প্রিমিয়ার লিগে এই নিয়ে তিন ম্যাচের মধ্যে দুইবার লাল কার্ড দেখলেন কাসেমিরো। গত মাসে ক্রিস্টাল প্যালেসের উইল হিউজকে ফাউল করে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে।টেন হাগের মতে, কাসেমিরোর দায় কোনোটিতেই খুব একটা নেই। কাঠগড়ায় তুললেন তিনি ভিএআরকেই।“আরেকটি জায়গাতেও অধারাবাহিকতা আছে। মৌসুমের শুরুতে রেফারিং নিয়ে বলা হয়েছিল, ‘আমরা প্রিমিয়ার লিগ, এখানে কঠিন ফুটবল হয় এবং আমরা সেই তীব্রতা দেখতে চাই।’ কিন্তু বাস্তবে কি হচ্ছে? ইউরোপিয়ান ফুটবলে পাঁচশর বেশি ম্যাচ খেলেছে কাসেমিরো, কখনও সরাসরি লাল কার্ড দেখেনি। এখানে এসে সে দুটি দেখে ফেলল। সে কঠোর ফুটবল খেলে তবে ন্যায্য পথেই খেলে। আজকেও খেলেছে, ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষেও। খুবই বিতর্কিত ব্যাপার।”“ফুটবল যারা বোঝেন, তারা সবাই জানে যে যখন কোনো দৃশ্য স্থির করে দেখা হয়, তখন তা বাজে দেখা যেতেই পারে। কিন্তু ফুটবল যারা বোঝেন, সবাই জানেন যে কোনটি বাজে আর কোনটি ন্যায্য। কাসোমিরো সবসময় সঠিক পথেই খেলে। কঠোর কিন্তু সঠিক। পাঁচশর বেশি ম্যাচ খেলেও কখনও সরাসরি লাল কার্ড দেখেনি, এতেই তা ফুটে ওঠে।”