স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,১৭ জানুয়ারি:টপ ফেভারিটের একটি হয়ে কাতারে মাঠে নামা ব্রাজিলের আসরের শুরুটা ছিল দারুণ। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর শেষ ষোলোয় দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেয় তিতের দল। কোয়ার্টার-ফাইনালে রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বাধা ছিল ক্রোয়েশিয়া।শেষ চারে যাওয়ার লড়াইটি নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ১-১ সমতায় শেষ হয়। এরপর টাইব্রেকারে ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে সেমির টিকেট পায় ক্রোয়াটরা। চোখের জলে বিদায় নেন নেইমার, রিশার্লিসনরা।ইএসপিএনকে গত সোমবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপের হতাশাজনক অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন রিশার্লিসন। এভাবে বিদায় নেওয়াটা বড় ধাক্কা হলেও ভবিষ্যতে আরও ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার।“এটা ছিল জোর ধাক্কা। আমার কাছে, কষ্টটা পরিবারের সদস্য হারানোর চেয়েও বেশি। ওই হতাশা কাটিয়ে ওটা কঠিন ছিল। আজও যখন আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (বিশ্বকাপের) ভিডিওগুলো দেখি, তা আমাকে দুঃখিত করে৷”
“তবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমি এখনও তরুণ। আমি মনে করি, আমার এখনও এক বা দুটি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ আছে। আমি কঠোর পরিশ্রম করে যাব, যাতে সবকিছু আবার স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকে, আবারও যেন গোল করতে শুরু করতে পারি, যা মাঠে কীভাবে করতে হয় তা আমি জানি।”গত বিশ্বকাপে ব্রাজিলের আলো ছড়ানো খেলোয়াড়দের একজন রিশার্লিসন। তিন গোল করে আসরে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন তিনি। আসর শুরুর ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে তার জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল ব্রাজিল। ওই ম্যাচেই দুর্দান্ত অ্যাক্রোবেটিক শটে দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন রিশার্লিসন। গোলটি পরে টুর্নামেন্টের সেরা গোলের পুরস্কার জিতে নেয়। ২০২২ সালের পুসকাস পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছে রিশার্লিসনের করা গোল।রিশার্লিসন মনে করেন, গোলটি তার ক্যারিয়ারের জন্য টার্নিং পয়েন্ট।“আমাদের লক্ষ্য ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আমি একটি সুন্দর গোল করেছি, কিন্তু শুধু সেটাই আমার লক্ষ্য ছিল না। আমরা সেখানে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে গিয়েছিলাম।”“কিন্তু আমি ওই দুর্দান্ত গোলটি করতে পেরে খুশি, পুসকাসের জন্য মনোনীত হতে পেরেও। আমি খুশি ছিলাম, কারণ আমার মনে হয় (ওই গোলের পর থেকে) আমাকে আরও জানতে শুরু করেছে অনেকে। এটি আমার ক্যারিয়ারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”