স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৫ জানুয়ারি: কোপা দেল রের ম্যাচে বুধবার তৃতীয় বিভাগের দল ইন্তারসিটিকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোয় ওঠে বার্সেলোনা।ম্যাচে বার্সেলোনা তিন দফায় এগিয়ে গেলেও প্রতিবারই ইন্তারসিটি সমতায় ফেরে ওরিয়ল সলদাভিয়ার গোলে। বার্সেলোনার একাডেমি থেকে উঠে আসা ২১ বছর বয়সী এই ফুটবলার করেন দারুণ এক হ্যাটট্রিক। তবে শেষ পর্যন্ত তারা অঘটন ঘটাতে পারেনি। নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে আনসু ফাতির গোল ম্যাচে গড়ে দেয় ব্যবধান।
সলদাভিয়ার জন্ম বার্সেলোনায়। শৈশবে তিনি দুই বছর কাটান বার্সেলোনার একাডেমিতে। পরে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। বার্মিংহাম সিটিতে দুই বছর কাটিয়ে প্রথম দলে জায়গা না পেয়ে পরে ফিরে আসেন নিজ দেশে। অবশেষে এবার নজর কাড়ার মতো কিছু করতে পারলেন ২১ বছর বয়সী অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।সেরা একাদশের বেশির ভাগকে বিশ্রামে রেখে দল সাজান বার্সেলোনা কোচ শাভি এরনান্দেস। ম্যাচের শুরুটা তাদের জন্য ছিল স্বস্তির। রোনালদ আরাউহো দলকে এগিয়ে নেন চতুর্থ মিনিটেই। ঢিমেতালে চলা প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি।৫৯তম মিনিটে সলদাভিয়া সমতায় ফেরান ইন্তারসিটিকে। ৬৬তম মিনিটে উসমান দেম্বেলের গোলে আবার এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। সলদাভিয়া সেই গোল শোধ করে দেন ৭৪তম মিনিটে। তিন মিনিট পর বার্সেলোনা আরেক দফা এগিোয় যায় রাফিনিয়ার গোলে। কিন্তু ৮৬তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে দলকে অভাবনীয় কিছুর স্বপ্ন দেখান সলদাভিয়া।
গত মৌসুমে তৃতীয় বিভাগে উঠে আসা দলটি আর পেরে ওঠেনি অতিরিক্ত সময়ে। ১০৩তম মিনিটে ফাতির গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বার্সেলোনা আর গোল হজম করেনি।কাপের ম্যাচে ভোগান্তি কিংবা অঘটনের শিকার হওয়া অবশ্য বড় দলগুলির জন্য নতুন কিছু নয়। এই ম্যাচ শেষে শাভির কণ্ঠেও উঠে এলো তা। তবে সামনে তাকিয়ে সতর্ক বার্সেলোনা কোচ।“এই ফলাফলে আমাদের খুশি হওয়ার কিছু নেই। তবে কাপের ম্যাচে এরকম কিছু হয়েই থাকে। শীর্ষ বিভাগের সাতটি দল ছিটকে গেছে এর মধ্যে। আমরা বারবার এগিয়ে গিয়েও খেলাটা শেষ করে দিতে পারিনি। আমরা অনায়াসেই ২-০ বা ৪-২ করতে পারতাম, কিন্তু নিজেদের কাজ কঠিন করে তুলেছি।”“বক্সের ভেতর আমরা যথেষ্ট ভালো ছিলাম না। এস্পানিওলের বিপক্ষে ম্যাচের পরও (লা লিগায়, শনিবার) একই আলোচনা ছিল আমাদের। তার পরও আজকে ঠিক হয়নি। ওই ম্যাচ ছিল একটি সতর্কবার্তা, এই ম্যাচ আরেকটি।”