স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,২৬ নভেম্বর: অতলে ডুবে যাওয়ার শঙ্কা যেমন আছে। শিখরে যাওয়ার হাতছানিও আছে। হার দিয়ে শুরু করে আর কক্ষপথে ফিরতে না পারার নজির যেমন আছে, শিরোপা উঁচিয়ে ধরার উদাহরণও আছে।টানা ৩৬ ম্যাচ জিতে আসর শুরু করা লিওনেল স্কালোনির দল প্রথম ম্যাচে খেয়েছে জোর ধাক্কা। মেসির গোলে এগিয়ে গিয়েও সৌদি আরবের বিপক্ষে হেরেছে ২-১ গোলে। এই অঘটন তাদের জন্য হতে পারে জেগে ওঠার বার্তা। কিছু দিন আগে যেমনটা ঘটেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে।সুপার টুয়েলভের বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। কঠিন হয়ে গিয়েছিল সেমি-ফাইনালের পথ। তবে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিতে নেয় জস বাটলারের দল।ফাইনালে পাকিস্তানকে হারানোর পর অলরাউন্ডার বেন স্টোকস জানান, এই শিরোপা জয়ে কতটা বড় ভূমিকা ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেই হারের।“আয়ারল্যান্ডকে ধন্যবাদ দিতে হয়, হারিয়ে আমাদেরকে জাগিয়ে দেওয়ার জন্য। সেরা দলগুলো নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নেয় এবং হারের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে দেয় না।”ক্রিকেটার স্টোকস কি বলেছেন, তা জানার কথা নয় আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনির। তবে তার কথায় ইংলিশ অলরাউন্ডারের সুরই যেন শোনা গেছে!
তিনি বলেছেন, একটা দল জিততেই থাকবে, এটা বাস্তব সম্মত নয়। একটা না একটা সময়ে হারবেই। আর্জেন্টিনার সেই হার এসেছে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে! এক দিক থেকে হয়তো ভালোই হয়েছে। নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সময় পেয়ে গেছে।তিন বছরের বেশি সময় ধরে অপরাজেয় পথ চলার জন্য হয়তো কঠিন পরিস্থিতির কথা ভুলে গেছেন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা। কিন্তু ভুলেননি স্কালোনি। তার মনের গভীরে কোথাও যেন এমন একটা পরিস্থিতির শঙ্কা খেলা করছিল!“আমি সব সময়ই বলে এসেছি, আমাদের ধাক্কা সামলানোর জন্য তৈরি থাকতে হবে। আর কঠিন সময়ে সবার সমর্থন প্রয়োজন হবে। সবার আগে আমি নিজে এর জন্য তৈরি। ফুটবলে এটা ঘটতেই পারে। এটা বিস্ময়কর যে আমরা ৩০ এর বেশি ম্যাচ ধরে অপরাজিত ছিলাম। এটা বাস্তবসম্মত নয়।”“ফুটবলে জয়-পরাজয় আছেই। সৌভাগ্যবশত এটা প্রথম ম্যাচেই হয়েছে। একটা ম্যাচে কেউ হারতেই পারে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পরের দিন কীভাবে জেগে উঠছে। আর আমার ক্ষেত্রে, আমি সব সময়ই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।”গ্রুপের অন্য ম্যাচে মেক্সিকো ও পোল্যান্ড গোলশূন্য ড্র করায় এখনও সমীকরণ খুব কঠিন নয় আর্জেন্টিনার জন্য। শেষ ষোলোর ভাগ্য এখনও তাদের নিজেদের হাতে আছে। এর জন্য জিততে হবে পোল্যান্ড ও মেক্সিকোর বিপক্ষে।প্রথম ম্যাচে হারার পর এই দুই ম্যাচে স্কিলের পাশাপাশি মানসিক শক্তির পরীক্ষাও দিতে হবে আনহেল দি মারিয়া-লাউতারো মার্তিনেসদের। সেখানে কেমন করবেন তারা এর উপরই নির্ভর করছে কাতার আসরে আর্জেন্টিনার ভবিষ্যৎ।