Friday, April 19, 2024
বাড়িখেলাআফগানিস্তানে চাবুক মারছে তালেবান, নারীরাও বাদ যাচ্ছে না

আফগানিস্তানে চাবুক মারছে তালেবান, নারীরাও বাদ যাচ্ছে না

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,২৪ নভেম্বর: আফগানিস্তানের একটি স্টেডিয়ামে হাজারও দর্শকের উপস্থিতিতে তিন নারীসহ ১২ জনকে প্রকাশ্যে চাবুক মেরে সাজা কার্যকর করেছে তালেবান।ব্যাভিচার, চুরি, সমকামিতাসহ নানান ‘নৈতিক অপরাধে’ দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে তালেবানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।এ নিয়ে কট্টরপন্থি ইসলামিক গোষ্ঠীটি চলতি মাসেই দুইবার প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতে সাজা কার্যকর করল বলে ধারণা করা হচ্ছে।এ পদক্ষেপকে গোষ্ঠীটির গত শতকের ৯০ দশকের শাসনামলকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে; তালেবান যে ধীরে ধীরে ওই আমলের কঠোর বিধি-বিধানের জমানায় ফিরে যাচ্ছে, প্রকাশ্যে চাবুক মারাতেই তার ইঙ্গিত মিলছে বলে মত পশ্চিমা পর্যবেক্ষকদের।স্টেডিয়ামে প্রকাশ্যে চাবুক মেরে সর্বশেষ এ সাজা কার্যকরের ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব আফগানিস্তানের লোগার অঞ্চলে।সেখানকার তালেবান মুখপাত্র ওমর মনসুর মুজাহিদ জানান, চাবুক মারার পর তিন নারীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে পুরুষদের মধ্যে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি, কয়েকজনকে জেলখানায় পাঠানো হয়েছে। তাদের সংখ্যা কত, তা জানাননি তিনি।শাস্তি পাওয়া নারী-পুরুষদের ২১ থেকে ৩৯টি করে চাবুক মারা হয়েছে। এক ব্যক্তির জন্য সর্বোচ্চ ৩৯বার চাবুকের আঘাত বরাদ্দ, বলেছেন আরেক তালেবান কর্মকর্তা।জানা গেছে, গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের তাখার প্রদেশেরও একইভাবে আরও ১৯ জনের সাজা কার্যকর করা হয়েছে।

তালেবানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা সুনির্দিষ্ট কিছু অপরাধের ক্ষেত্রে তারা ইসলামের শরিয়া আইনকে যেভাবে দেখে, সেই কঠোর ভাষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাজা দিতে বিচারকদের নির্দেশ দেওয়ার এক সপ্তাহ পর লোগার প্রদেশে এই প্রকাশ্যে চাবুক মারার ঘটনা ঘটল।কট্টরপন্থি এ গোষ্ঠীটির দৃষ্টিতে ইসলামী আইনে জনসমক্ষে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, অঙ্গচ্ছেদ ও পাথর মারার বিধান থাকলেও কোন কোন অপরাধের ক্ষেত্রে এই ধরনের সাজা দেওয়া যাবে, তালেবান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানায়নি।তালেবানরা যে মানবাধিকার ও ব্যক্তিস্বাধীনতা প্রসঙ্গে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে, তাদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার সর্বশেষ নির্দেশকে তারই ইঙ্গিত হিসেবে ধরা হচ্ছে। যদিও গত বছর ক্ষমতা নেওয়ার সময় তারা আগের শাসনের তুলনায় উদার হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত তাদের আগের আমলে চাবুক মারা, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরসহ প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া নিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে নিন্দিত হয়েছিল তালেবান।গতবারের মতো নারীদের ওপর নির্মম নিপীড়ন না চালানোর আশ্বাস দিলেও এবারও ক্ষমতায় বসার পর থেকে তারা নারীদের স্বাধীনতা খর্ব করে যাচ্ছে; নিজেদের অধিকার চাওয়া অসংখ্য নারী ব্যাপক মারধরেরও শিকার হয়েছেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য