Saturday, April 20, 2024
বাড়িখেলা‘সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডই বিশ্ব সেরা’

‘সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডই বিশ্ব সেরা’

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৪ নভেম্বর: স্বল্প পুঁজি নিয়ে লড়াই করেছে পাকিস্তানের বোলাররা। মাঝপথে খানিক চাপে পড়লেও সুনিপুণ দক্ষতায় শেষ হাসি হেসেছে ইংল্যান্ড। ঐতিহাসিক এমসিজিতে রচিত হয়েছে ইংলিশদের জয়গান। ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার-বিশ্লেষকরা।মেলবোর্নে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড। বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে একইসময়ে সাদা বলের দুই সংস্করণের চ্যাম্পিয়ন এখন তারা।ব্যাটসম্যানদের এনে দিতে পারেনি বড় সংগ্রহ, তা নিয়েই লড়াই করেছিল পাকিস্তানের বোলাররা। মাঝে একটা সময় ইংলিশদের চেপেও ধরেছিল তারা। কিন্তু শেষ দিকে বোলিং বিভাগের মূল অস্ত্র শাহিন শাহ আফ্রিদি চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে, শেষ হয়ে যায় তাদের সম্ভাবনা। ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকার মনে করেন, বাঁহাতি এই পেসার পুরোটা খেলতে পারলে আরও রোমাঞ্চকর হতো ফাইনাল।“টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় শিরোপা জেতায় (ইংল্যান্ডকে) অভিনন্দন। অসাধারণ অর্জন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ফাইনাল ছিল। (শাহিন শাহ) আফ্রিদি চোট না পেলে ম্যাচটি আরও জমতে পারত। কী রোলার কোস্টার যাত্রার এক বিশ্বকাপ!”

ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, তাই হার্শা ভোগলের চোখে ইংল্যান্ডই এখন সীমিত ওভারের ক্রিকেটের রাজা।“ওয়েন মর্গ্যান যে বিবর্তন নিয়ে এসেছিল তা এখনও শক্তভাবে বেঁচে আছে। ক্রিকেট বিশ্বে সাদা বলে সবার সেরা দল ইংল্যান্ড। একসঙ্গে দুই সংস্করণের বিশ্বকাপ জেতা অসাধারণ সাফল্য।”১৩৭ রানের পুঁজি নিয়ে যেভাবে লড়াই করেছে বাবর আজমের দল তাতে গর্বিত পাকিস্তানের বোলিং গ্রেট ওয়াকার ইউনিস।“টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল জেতায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড, জস বাটলার ও তার দলকে অভিনন্দন। খুব ভালো খেলেছ স্যাম কারান। ইংল্যান্ডের প্রাপ্য জয়। (পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা) মাথা উঁচু রাখো। তোমরা আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছ।”ফাইনালে কেবল ১৩৭ রানের পুঁজি- ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সে খুশি নন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি।“ব্যাটিং বিভাগ এমন গর্তই খুঁড়েছে যে বিশ্বের সেরা বোলিং আক্রমণও তা ভরাট করতে পারেনি। সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে ফাইনাল পর্যন্ত যাওয়া এবং দারুণ একটি (ফাইনাল) ম্যাচ উপহার দেওয়া দলের অসামান্য প্রচেষ্টা। ইংল্যান্ড ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। ছেলেরা মাথা উঁচু রাখো। আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রানার্সআপ।”  

বিদায়ের দুয়ার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান যেভাবে ফাইনালের মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিল তাতে দারুণ আশাবাদী ছিলেন শোয়েব আখতার। শেষ পর্যন্ত দল হেরে যাওয়ায় ভীষণ হতাশ সাবেক এই পেসার। “পাকিস্তান দল, তোমরা দারুণ করেছ। একটা পর্যায়ে কোনো অবস্থানই ছিল না। সেখান থেকে তোমরা ফাইনাল খেলেছ। পাকিস্তানি বোলিংকে অভিনন্দন। পুরো আসরজুড়েই অনেক ভালো করেছে। ভাগ্য ছিল সাথে। তবে ভালো খেলেই ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। শাহিন আফ্রিদির চোট পাওয়াটা টার্নিং পয়েন্ট ছিল। ব্যাপার না, এমন হতেই পারে। আমি দলের সঙ্গে আছি। চিন্তার কিছু নেই। কষ্ট হচ্ছে, কিছুটা হতাশও। কোনো ব্যাপার না। আবার যাব এবং বিশ্বকাপ জিতব।”পাকিস্তানের দারুণ বোলিংয়ের সামনে যে আস্থা নিয়ে খেলেছেন বেন স্টোকস, যেভাবে দলকে এই অলরাউন্ডার নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে তাতে মুগ্ধ মাইকেল ভন। আর সেরার প্রশ্নে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়কও ভোগলের সঙ্গে একমত।

“সাদা বলের ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা দল ইংল্যান্ড। তাদের দুর্দান্ত সব খেলোয়াড় রয়েছে। এখন সাদা বলের ক্রিকেটের দুটি বিশ্বকাপই তাদের হাতে। এটি পুরোপুরি প্রাপ্য। বেন স্টোকস তাদের এমন এক খেলোয়াড় যে জানে কীভাবে বড় মুহূর্তে জিততে হয়। সেরা দলগুলোর সেরা খেলোয়াড়দের প্রয়োজন হয়। ইংল্যান্ডের অনেক আছে।”সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান আকাশ চোপড়াও বললেন স্টোকসের কথা।বড় মঞ্চের জন্য বেন স্টোকস দুর্দান্ত একজন খেলোয়াড়। ২০১৯ সালের (ওয়ানডে বিশ্বকাপের) ফাইনাল, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আবশ্যিক জয়ের ম্যাচ এবং আজকে (বৃহস্পতিবার) এমসিজিতে।”স্টোকসের প্রশংসায় মেতেছেন সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না।

“টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অসাধারণ জয়ের জন্য ইংল্যান্ডকে অনেক অনেক অভিনন্দন। দুই দলই দারুণ লড়াই করেছে। বিশ্ব মানের পারফরম্যান্সের জন্য বেন স্টোকসকে টুপিখোলা সম্মান।”  ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ কাইফ মনে করেন, সব দিক থেকেই পরিপূর্ণ থাকায় শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড।“এই বিশ্বকাপ থেকে শিক্ষা হলো: পাকিস্তান শুধুমাত্র বোলিং দিয়ে বিশ্বকাপ জিততে পারবে না। ভারত শুধুমাত্র ব্যাটিং দিয়ে বিশ্বকাপ জিততে পারবে না। ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান, স্পিনার, পেসার, ফিল্ডার এবং ভাগ্যও রয়েছে।”ইংল্যান্ডের পাশাপাশি পাকিস্তানকেও অভিনন্দন জানালেন সাবেক শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার রাসেল আর্নল্ড।“সাদা বলের দুইটি ট্রফিই ইংল্যান্ডের কাছে। দারুণ গভীরতা সম্পন্ন একটি দল। যাদের বেশ কয়েকজন ম্যাচ উইনারও রয়েছে। ফাইনালে দারুণ করেছ তোমরা। পাকিস্তানকেও অভিনন্দন। যদি কোনো দলের পক্ষে এই রান (১৩৭) ডিফেন্ড করা সম্ভব হতো, সেটি পাকিস্তান। কিন্তু ওই সময় শাহিন (শাহ আফ্রিদি) চোটে পড়া মোটেও ভালো হয়নি।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য