Tuesday, June 17, 2025
বাড়িখেলাঅ্যাডিলেইড ও কোহলির ‘ভালোবাসার’ গল্প

অ্যাডিলেইড ও কোহলির ‘ভালোবাসার’ গল্প

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,৩ নভেম্বর: সুপার টুয়েলভ পর্বের ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে তিন নম্বরে নেমে ৪৪ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করেন কোহলি। ৮ চার ও এক ছক্কায় গড়া এই তারকার ইনিংসটি। ভারতের ১৮৪ রানের পুঁজি গড়ায় তার ইনিংসটি রাখে অগ্রণী ভূমিকা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ভারতের ৫ রানে জয়ের পর ‘ম্যান অব দা ম্যাচ’ কোহলিই।অ্যাডিলেইড ওভাল সবসময়ই কোহলিকে দুই হাত ভরে দিয়েছে। এখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব সংস্করণ মিলিয়ে ১৪ ইনিংসে তার রান ৯০৭। গড় ৭৫.৫৮। এই মাঠে চার টেস্ট খেলে কোহলি সেঞ্চুরি তিনটি, ফিফটি একটি। আট ইনিংসে ৬৩.৬২ গড়ে রান ৫০৯।টেস্ট দিয়েই এখানে তিনি প্রথম খেলতে নামেন ২০১২ সালের জানুয়ারিতে। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ পান সেই ম্যাচেই। দলের প্রথম ইনিংসে খেলেন ১১৬ রানের দারুণ ইনিংস।২০১৪ সালে কোহলির টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকও হয় এই মাঠে। উপলক্ষটা তিনি রাঙান ওই টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করে।ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি অ্যাডিলেইডেই করেন কোহলি। 

অ্যাডিলেইডে তার ওয়ানডের পরিসংখ্যানও দুর্দান্ত। চার ম্যাচে ৬১ গড়ে রান ২৪৪। সেঞ্চুরি দুটি। সেই দুটি সেঞ্চুরিই এখানে তার সবশেষ দুই ম্যাচে।২০১৫ বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০৭ রানের ইনিংসে খেলে জয়ের নায়ক ছিলেন তিনিই। এরপর ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রান তাড়ায় খেলেন ১০৪ রানের আরেকটি দুর্দান্ত ইনিংস। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন এবারও।দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার এই মাঠে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলে ১৫৫.৫৫ স্ট্রাইক রেটে কোহলির রান ১৫৪। অপরাজিত থাকেন দুটি ইনিংসেই। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটির আগে ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছিলেন ৫৫ বলে ৯০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন সেই ম্যাচেও!অ্যাডিলেইডের প্রতি তাই কোহলির একটা আলাদা ভালোবাসাও আছে। বুধবার বাংলাদেশ ম্যাচের পর যেমন বললেন, এখানে ঘরের মাঠে খেলার মতো অনুভূতি হয় তার। 

“আমি এই মাঠে খেলতে ভালোবাসি। ঠিক পেছনের নেট থেকে, এখানে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই মনে হয় আমার ঘরের মাঠে এসে পড়েছি। এমসিজিতে যে ইনিংসটি খেলেছি (বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫৩ বলে অপরাজিত ৮২), সেটা দরকার ছিল। কিন্তু আমি যখন এখানে আসি, তখন মনে হয়, অ্যাডিলেইডে এসে আমার ব্যাটিং উপভোগ করতে চাই।”আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অ্যাডিলেইডে কোহলির পাঁচ সেঞ্চুরিই সর্বোচ্চ।শুধু অ্যাডিলেইডেই নয়, অস্ট্রেলিয়া জুড়েই কোহলির পরিসংখ্যান দুর্দান্ত। তাসমান সাগর পাড়ের দেশটিতে তিন সংস্করণ মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ৬৮ ইনিংসে ৫৬.৭৭ গড়ে তার রান ৩ হাজার ৩৫০।

টেস্টে ১৩ ম্যাচের ২৫ ইনিংসে ৫৪.০৮ গড়ে রান ১ হাজার ৩৫২। ছয়টি সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি আছে চারটি। ওয়ানডেতে ২৯ ইনিংসে পাঁচ সেঞ্চুরি ও ছয় ফিফটিতে ৫১.০৩ গড়ে রান ১ হাজার ৩২৭।টি-টোয়েন্টির পরিসংখ্যান তো চোখধাঁধানো। ১৪ ইনিংসে ৮৩.৮৭ গড়ে রান ৬৭১। স্ট্রাইক রেট ১৪৪.৬১, ভারতের বাইরে যে কোনো দেশে যা তার সর্বোচ্চ, এমনকি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেটের চেয়েও ভালো।এবারের বিশ্বকাপেও তিনি দারুণ ছন্দে আছেন। আসরে চার ম্যাচে তার ফিফটি তিনটি, সবকটিই অপরাজিত। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ২২০ রান তার, গড়ও ২২০!অস্ট্রেলিয়ার পিচগুলিতে কোহলির ব্যাটিংয়ে ধরন বেশ মানিয়ে যায়। বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায় হবে জানার পরই তাই খুশি হয়েছিলেন তিনি।“যখনই জানতে পারলাম যে বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায়, আমি খুব আনন্দ পেয়েছিলাম। জানতাম, ভালো ক্রিকেটীয় শটই হবে আসল চাবিকাঠি। জানতাম, অস্ট্রেলিয়ায় আমার খেলার অভিজ্ঞতা দলের জন্য কাজে আসবে।”তার সেই অভিজ্ঞতা ভালোই কাজে লাগছে দলের। বিশ্বকাপে যে তিন ম্যাচে তিনি ফিফটি করেছেন, সবগুলোই জিতেছে ভারত।  

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!