স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,২৬ অক্টোবর: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মঙ্গলবার পার্থে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় স্টয়নিস যখন পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন, অস্ট্রেলিয়ার তখনও দরকার ৪৬ বলে ৬৯ রান। ওপেনার ফিঞ্চ খেলছিলেন তখন ৩৫ বলে ২৪ রানে!স্টয়নিসের তাণ্ডবে অস্ট্রেলিয়া জয়ের ঠিকানায় পৌঁছে যায় পরের ২৫ বলেই! টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম ফিফটিতে ১৮ বলে ৬টি ছক্কা ও ৪টি চারে অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা তিনি। তার সঙ্গে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন ফিঞ্চও। তবে ৩১ রান করতে তিনি খেলেন ৪২ বল! তার ইনিংসে বাউন্ডারি বলতে কেবল একটি ছক্কা।নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৯ রানের হারে শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরুর পর সেমি-ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচে জয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল অস্ট্রেলিয়ার জন্য। ৭ উইকেটে জয়ের পর স্বাভাবিকভাবে তাই খুব খুশি ফিঞ্চ। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তার নিজের ও স্টয়নিসের ইনিংসকে তিনি মূল্যায়ন করলেন দুই ভাবে।“অবশ্যই আমার ইনিংসটা ছিল অদ্ভুত। বাজে ইনিংস এটা। আমি বল ঠিকঠাক মারতে পারিনি। স্টয়নিসের ইনিংসটা ছিল স্পেশাল। এরকম মনোভাব নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামাটাই বড় ব্যাপার। ব্যাট করতে নামলে ক্রিজে এরকমই থাকতে হয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটিই অর্ধেক যুদ্ধ। তার যে স্কিল ও শক্তি আছে, দুইয়ের মিশেলে তা দারুণ।”অস্ট্রেলিয়ার পরের ম্যাচ আগামী শুক্রবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি)। ফিঞ্চ অধীর হয়ে তাকিয়ে আছেন সেই ম্যাচের দিকে।“(এমসিজিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা) সবসময়ই দুর্দান্ত ব্যাপার। যে কোনো ফরম্যাটে, বিশ্বের যে কোনো জায়গায় ওদের বিপক্ষে খেলাটা বিশেষ কিছু। আমরা ম্যাচটির জন্য মুখিয়ে আছি।”