স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,১৮ অক্টোবর: অস্ট্রেলিয়া দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কামিন্স। খেলেন তিন সংস্করণেই খেলেন। তবে ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করতে মূলত বেছে খেলতে হয় তাকে। ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন গত জুনে শ্রীলঙ্কা সফরে। এরপর জিম্বাবুয়ে, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ছিলেন না তিনি।সব ম্যাচ খেলার একটা দায় থাকে অধিনায়কের, কামিন্স তা ভালো করেই জানেন। কিন্তু একজন ফাস্ট-বোলার হওয়ায় তার পক্ষে এটা সম্ভব নয়, যা ভালো করেই জানা আছে তার।আপাতত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে নামার অপেক্ষায় আছেন কামিন্স।ভারতের বিপক্ষে সোমবার আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। আগের দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, ক্যাপটেন্সি কমিটির কথা।
“এটার (ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ভাগাভাগি করা) জন্য আমি প্রস্তুত। প্রতিটি ম্যাচ খেলা বাস্তবসম্মত নয়। এটা সত্যিই সহজ হবে যদি একটি (নেতৃত্বের গ্রুপ) কমিটি থাকে।”“দলের সবার নেতৃত্বের ধরন প্রায় একই রকম। আমাদের দারুণ কয়েকজন অধিনায়ক আছে…”২০১৮ সালের বল টেম্পারিং কাণ্ডে আজীবনের জন্য ওয়ার্নারের নেতৃত্ব নিষিদ্ধ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এখনও অবশ্য তা তুলে নিতে পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। বাঁহাতি এই তারকা ব্যাটসম্যানের এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পক্ষে কামিন্সও।“এখন কিছু বাধা রয়েছে (ওয়ার্নারের নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞায়)। তবে সেগুলো যদি সরিয়ে দেওয়া হয়, খেলোয়াড় বা কোচিং গ্রুপের পক্ষ থেকে কোনো সংশয় থাকবে না। তিনি এই দায়িত্বে দারুণ করবেন।”“তিনি আমাদের দলের একজন নেতা। সবসময় ছিলেন এবং থাকবেন। টেস্ট দলে এমন একজন যার ওপর আমি অনেক নির্ভর করি। পরিস্থিতি যদি পরিবর্তন হয়, আমি নিশ্চিত তিনি এমন একজন যাকে দৃঢ়ভাবে বিবেচনা করা যায়।”ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া প্রথম প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড। সুপার টুয়েলভে আগামী শনিবার মুখোমুখি হবে তাসমান সাগর পাড়ের দুই দেশ।