স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,১২ অক্টোবর: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে মঙ্গলবার রাতে নিজেদের মাঠে বেনফিকার বিপক্ষে ১-১ ড্র করেছে পিএসজি। প্রথম দেখায়ও প্যারিসের দলটি এগিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচ শেষ হয়েছিল একই স্কোরলাইনে।বলের নিয়ন্ত্রণে আধিপত্য করলেও পিএসজির আক্রমণভাগ ছিল বিবর্ণ। ১৯তম মিনিটে বেঁচে যায় দলটি। ডান দিক থেকে আসা ক্রস একটু লাফিয়ে রিসিভ করতে গিয়ে হাত লাগিয়ে বসেন আশরাফ হাকিমি। ভিএআরের পর্যবেক্ষণে হাকিমির হ্যান্ডবলের আগে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড় অফসাইডে থাকায় পেনাল্টি হয়নি।দুই মিনিট পর ডান দিক দিয়ে বল নিয়ে ছোটা এমবাপেকে বাজে ট্যাকল করে হলুদ কার্ড দেখেন নিকোলাস ওতামেন্দি। বক্সের একটু ওপর থেকে নেওয়া ফ্রি কিকে ম্যাচের ডেডলক খুলতে পারেননি নেইমার; সরাসরি রক্ষণ দেয়ালে মেরে বসেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।৩৮তম মিনিটে মার্কো ভেরাত্তির রক্ষণ চেরা পাস হুয়ান বেরনাত নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সময় বক্সে তাকে ফাউল করেন আন্তোনিও সিলভা। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে পিএসজিকে এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তি এনে দেন এমবাপে। ক্রিস্তফ গালতিয়েরের দলের শেষ ষোলোয় ওঠার সম্ভাবনাও উঁকি দেয়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি মৌসুমে এটি এমবাপের চতুর্থ গোল। এই প্রতিযোগিতায় পিএসজির সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডের পাতায় ৩০ গোল নিয়ে এতদিন এদিনসন কাভানির সঙ্গে শীর্ষে ছিলেন তিনি। সে রেকর্ড নিজের করে নিলেন এমবাপে।দ্বিতীয়ার্ধেও ছন্দ ফেরেনি পিএসজির খেলায়। ষষ্ঠ মিনিটে হাকিমির ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে কিছুটা জায়গা করে নিয়ে শট নিয়েছিলেন এমবাপে। বল বাঁক খেলেও দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।৬২তম মিনিটে জোয়াও মারিওর সফল স্পট কিকে সমতায় ফিরে বেনফিকা। ভেরাত্তি বক্সের ঠিক ভেতরেই রাফাকে ফাউল করলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।শেষ দিকে কর্নারের পর দূরের পোস্টে ফাঁকায় থাকা এমবাপের ভলিতে বল জালে লুটোপুটি খেলেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি। তাতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচে জয়হীন থাকল পিএসজি। দারুণ এক চূড়ায় ওঠার ম্যাচে বিজয়ীর হাসি হাসতে পারলেন না এমবাপেও।এই ড্রয়ে শেষ ষোলোয় ওঠা ঝুলে গেছে দুই দলেরই। ৮ করে পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে শীর্ষে আছে পিএসজি, দ্বিতীয় স্থানে বেনফিকা।আরেক ম্যাচে ইউভেন্তুসকে ২-০ গোলে হারানো ম্যাকাবি খাইফার পয়েন্ট ৩, তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে ইউভেন্তুস।