স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,১০ অক্টোবর:গত বছরের মার্চে টি-টোয়েন্টি দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন সূর্যকুমার। দ্রুতই নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন তিনি। এখন পর্যন্ত ভারতের হয়ে ৩৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১ হাজার ৪৫ রান করেছেন ৩৮.৭০ গড় আর ১৭৬.৮১ স্ট্রাইক রেটে। একটি সেঞ্চুরির পাশে ফিফটি ৯টি। ২৩ ইনিংসে ৮০১ রান করে এ বছর এই সংস্করণে সর্বোচ্চ স্কোরার তিনিই। ঘরের মাঠে কিছুদিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিন ম্যাচে দুই ফিফটিতে ১১৯ রান করে তিনি ছিলেন সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে সূর্যকুমার আছেন এখন দুই নম্বরে। শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ানের থেকে পিছিয়ে আছেন স্রেফ ১৬ রেটিং পয়েন্টে। অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছার পর রোববার পার্থে প্রথম অনুশীলন করেছে ভারতীয় দল। সূর্যকুমার এই নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন দ্বিতীয়বার। বিসিসিআইয়ের ভিডিও বার্তায় তিনি বললেন, বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে প্রক্রিয়া ও রুটিন অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
“এখানে আসতে, প্রথম অনুশীলন সেশনে অংশ নিতে, মাঠে নেমে হাঁটতে, দৌড়াতে এবং এখানকার আবহ কেমন, সবকিছু অনুভব করতে আমি খুবই উন্মুখ ছিলাম। প্রথম নেট সেশন সত্যিই দারুণ ছিল।” “অবশ্যই পেটে প্রজাপতির নাচন অনুভব করেছি এবং অনেক রোমাঞ্চ ছিল। একই সঙ্গে এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে নিজেকে কীভাবে এই পরিবেশে মানিয়ে নিচ্ছি এবং সঠিক সময়ে সেরাটা দিতে পারছি কি-না। হ্যাঁ, আমি রোমাঞ্চিত। প্রক্রিয়া এবং রুটিন অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ।” পার্থের ওয়াকায় অনুশীলন করছে ভারত। এই মাঠেই তারা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ায় মাঠগুলো এমনিতে বড়। ছক্কা মারা তাই সহজ কাজ নয়। সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন সূর্যকুমার। “আমি শুধু দেখতে চেয়েছি উইকেটে গতি ও বাউন্স কেমন। তাই আমি একটু ধীরে শুরু করেছি। লোকে বলে এখানে মাঠগুলো অনেক বড়, তাই সেই অনুযায়ী গেম প্ল্যান করা গুরুত্বপূর্ণ, কীভাবে রান করব, এই বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ঠাণ্ডা বাতাস আছে, এছাড়া কন্ডিশন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভারতের মতোই। আমি সত্যিই মুখিয়ে আছি।” আগামী ২৩ অক্টোবর মেলবোর্নে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ভারতের বিশ্বকাপ অভিযান। এর আগে ব্রিজবেনে তারা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে।