স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৬ সেপ্টেম্বর:নেশন্স লিগে গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ফ্রান্সের জয়ে গোল করেছিলেন এমবাপে। কিন্তু ডেনমার্কের বিপক্ষে রোববার তিনি পাননি জালের দেখা। তার দল ২-০ গোলে হেরে যায় ডেনমার্কের কাছে।কোপেনহেগেনে এই ম্যাচের শুরুর দিকে দাপট ছিল ফ্রান্সের। অষ্টম মিনিটে এমবাপেরই একটি শট ফিরিয়ে দেন ক্যাস্পার স্মাইকেল। এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা ও অহেলিয়া চুয়ামেনিরা মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণ রাখেন। বেশ কয়েকটি আক্রমণ করতে পারে ফরাসিরা। তবে ক্রমেই তাদের ধার কমতে থাকে। আস্তে আস্তে তারা খেই হারান। সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রথমার্ধেই দুই গোল করে ফেলেন ডেনিশরা।শুরুর সময়ের পর এমবাপেকে সেভাবে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৬৭তম মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পেলেও তিনি হাতছাড়া করেন।এমবাপের পারফরম্যান্সে তবু সন্তুষ্ট নন দেশম। তিনি তুলে ধরলেন অন্যদের ব্যর্থতা।“কিলিয়ান (এমবাপে) অনেক কিছুই ভালোভাবে করেছে। মনে রাখতে হবে, তিন দিনের মধ্যে দুটি ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট খেলা কয়েকজন খেলোয়াড়ের একজন সে। সবকিছু তো সে একাই করে ফেলতে পারবে না।”“আগের ম্যাচে সে অনেক কার্যকর ছিল, গোটা দলের মতোই। কাজে তার ফর্ম আমাকে ভাবাচ্ছে না। তাকে নিয়ে কোনো দুর্ভাবনা নেই আমার। অন্যদেরও পাশে পাওয়া প্রয়োজন তার।”
চোটের কারণে করিম বেনজেমা, পল পগমা, হুগো লরিসদের ছাড়াই খেলতে হচ্ছে ফ্রান্সকে। কোচের মতে, অনভিজ্ঞদের নিয়ে গড়া দলের জন্য কাজটা ছিল কঠিন।“অনেক সুযোগ মিলেছে আমাদের, তবে যথেষ্ট আগ্রাসী ছিলাম না আমরা। বেশ কিছু ট্যাকটিক্যাল ভুলও আমরা করেছি। আমাদের এই দলটা তরুণ, সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা নেই। আজকের রাত ছিল বাস্তবতা অনুধাবনের।”তবে সামনের বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে বাস্তবতা হবে ভিন্ন, বললেন দেশম।“বিশ্বকাপ নিয়ে আমি চিন্তিত নই, কারণ চোটে পড়া বেশির ভাগ ফুটবলারকে তখন আমরা ফিরে পাব। তবে অবশ্যই মনে করছি না যে অন্যদের চেয়ে আমরা শক্তিশালী। আমরা জানি যে ওখানে লড়াই হবে অনেক কঠিন।”নেশন্স লিগে যে দলের কাছে দুইবার হেরেছে ফ্রান্স, সেই ডেনমার্কের সঙ্গে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেও দেখা হবে তাদের।