স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১০ জুলাই : দিল্লির মজনু কা টিলা এলাকায় এক তরুণী ও একটি ছয় মাসের শিশুকে নৃশংস খুন! ব্লেড দিয়ে গলা কেটে খুনের অভিযোগ উঠল নিখিল নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। নিহত তরুণীর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন ওই যুবক। ঘটনার দিন বচসার পরে হত্যাকাণ্ড হয়। ছয় মাসের শিশুটি খুন হওয়া তরুণীর বান্ধবীর মেয়ে বলে জানা গিয়েছে। কেন এই হত্যাকাণ্ড?
পুলিশ জানিয়েছে, খুন হয়েছেন ২২ বছরের সোনাল এবং তাঁর বান্ধবী রেশমির ছয় মাসের মেয়ে। অভিযুক্ত ২৪ বছরের নিখিল আদতে উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। ২০২৩ সালে হলদোয়ানিতে সোনালের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়, তাঁরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। ওই বছরই অন্তঃসত্ত্বা হন সোনাল। অবিবাহিত হওয়ায় এবং আর্থিক সমস্যায় সন্তান হোক চাননি দুজনেই। গর্ভপাত করান। পুলিশ জানিয়েছে, এর পরেও ২০২৪ শুরুতে সোনাল-নিখিলের সন্তান হয়।
দম্পতি শিশুটিকে আলোমোরার এক ব্যক্তির কাছে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে করে দেন বলে অভিযোগ। এর পর শহর বদলে দিল্লিতে ওয়াজিরাবাদে সংসার পাতেন সোনাল-নিখিল। পরে আসেন মঞ্জু কা টিলায়। এই সময় সোনালের সঙ্গে আলাপ হয় রেশমির। দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত করতেন দুই তরুণী। পুলিশ সূত্র জানাচ্ছে, এই পর্বে নিখিলের সন্দেহ হয় রেশমির স্বামী দুর্গেশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন সোনাল।
এই নিয়ে মাঝেমাঝেই উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হত। দুর্গেশ-সোনালের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নিখিল। এই সময় ফের অন্তঃসত্ত্বা হন সোনাল। এবারে সন্তান চান নিখিল। যদিও সোনাল গর্ভপাত করান। নিখিলের দাবি, দুর্গেশই জোর করে গর্ভপাত করান। হত্যাকাণ্ডের আগে গত ২০-২৫ দিন রেশমির বাড়িতে থাকছিলেন সোনাল।
গত বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ সেখানে উপস্থিত হন নিখিল। সেই সময় সোনাল ছাড়া বাড়িতে ছিল রেশমির ছয় মাস বয়সি মেয়ে। পাঁচ বছরের বড় মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন রেশমি-দুর্গেশ। অভিযোগ, বচসার পর সোনালকে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন নিখিল। এর পরেই তাঁর চোখ যায় শিশুটির দিকে। সোনালের গর্ভপাতের বদলা নিতে শিশুটিকেও গলা কেটে হত্যা করেন নিখিল। আওয়াজ যাতে বাইরে না যায়, তার জন্য হত্যার আগে দু’জনের মুখে সেলোটেপ লাগান। পলাতক নিখিলকে হলদোয়ানি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশি জেরায় জোড়া খুনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।