স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৩ জুন : রাখে হরি মারে কে। আহমেদাবাদের ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনায় অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে গিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাসকুমার রমেশ। বৃহস্পতিবার তাঁর সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর আজ, শুক্রবার সকাল সকাল তাঁকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই আতঙ্কের সেই মুহূর্তের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন বিশ্বাসকুমার। বলেন, উড়ানের ঠিক ৩০ সেকেন্ড পরই সব শেষ!
জানা গিয়েছে, ৪৫ বছর বয়সি বিশ্বাসকুমার ১১এ সিটটিতে বসেছিলেন। যাত্রী এবং ক্রু মেম্বার মিলিয়ে মোট ২৪২ জনের মধ্যে সম্ভবত তিনিই একমাত্র জীবিত। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর সহযাত্রী তথা ভাই অজয় কুমার রমেশের। তিনি বসেছিলেন অন্য রোয়ে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, হেঁটে হেঁটেই ধ্বংসপ্রাপ্ত বিমান থেকে বেরিয়ে আসছেন তিনি। তিনি জানান, “টেক অফের ঠিক ৩০ সেকেন্ড পরই বিকট শব্দ শুনতে পেলাম। তারপরই বিমানটা ভেঙে পড়ল। ভীষণ দ্রুত সবকিছু ঘটে গেল। আমি কীভাবে ওখান থেকে বেরিয়ে এলাম জানি না।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুকে চোট পেয়েছেন বিশ্বাসকুমার। তবে এর মধ্যেও ধ্বংসস্তূপ থেকে নিজের ভাইকে খুঁজে বের করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
ভয়ংকর এই দুর্ঘটনা থেকে বিশ্বাসকুমার জীবিত অবস্থায় ফেরায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন তাঁর পরিবার। কিন্তু একইসঙ্গে তাঁরা বিস্মিত। কীভাবে তিনি বেঁচে গেলেন, বুঝতেই পারছেন তাঁর বাড়ির লোকেরা। লেস্টার থেকে বিশ্বাসকুমারের আরেক ভাই নয়ন কুমার বলেন, “গোটা ঘটনার কথা জানতে পেরে আমরা স্তম্ভিত।” তবে বিশ্বাসকুমার যে এখনও ট্রমার মধ্যে রয়েছে, সেকথাও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মেঘানিনগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিনের উপর ভেঙে পড়ে AI171 এয়ারবাসটি। এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এয়ারবাস উড়ানের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ। ২০১১ সাল থেকে যাত্রা শুরুর পর এ যাবৎ এই বিমানটি কোথাও দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি। তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটল কীভাবে? উঠে আসছে একাধিক কারণ।