স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১০ জুন : অবৈধভাবে ভারতে এসে বসবাস করা ৩৩০ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে অসম সরকার। বাংলাদেশের উপদেষ্টা প্রধান মহম্মদ ইউনুসকে অস্বস্তিতে ফেলে সোমবার বিধানসভায় এমনটাই জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। শুধু তাই নয়, অবৈধবাসীদের চিহ্নিত করে তাঁদের দেশছাড়া করার প্রক্রিয়া আগামী দিনে আরও দ্রুততার সঙ্গে চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, “অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্য থেকে তাড়াতে ১৯৫০ সালের বিশেষ অভিবাসী আইনকে ব্যবহার করে এই পদক্ষেপ করেছে রাজ্যসরকার। এই আইন রাজ্যের আধিকারিকদের অনুপ্রবেশকারী শনাক্ত ও তাঁদের তাড়ানোর অনুমতি দেয়। এর ভিত্তিতেই গত কয়েকমাসে আমরা ৩৩০ জন বাংলাদেশিকে আসাম থেকে বাংলাদেশ ফেরত পাঠিয়েছি। আগামী দিনে অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে আমাদের এই অভিযান আরও দ্রুততার সঙ্গে চালিয়ে যাব।”
শুধু তাই নয়, অসমের কংগ্রেস সভাপতি গৌরব গগৈ নাম না করে তাঁকে নিশানা করেন শর্মা। তিনি বলেন, ‘২,৬০০ সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেছি আমরা। যেগুলি ইসলামাবাদ ও রিয়াধ থেকে পরিচালনা করা হয়। এগুলি প্যালেস্টাইন ও আসাম সম্পর্কে লেখা হয়েছে। আগামী দিনে এই সব অ্যাকাউন্ট সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করা হবে। এই অ্যাকাউন্টগুলি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে অভ্যর্থনা জানায় না অথচ রাজ্যের এক কংগ্রেস নেতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি অসমের মুখ্যমন্ত্রী ঠিকই, তবে আমার প্রথম পরিচয় আমি একজন অসমিয়া। আমার যাবতীয় কাজকর্ম আমার সেই পরিচয়কেই তুলে ধরবে। অসমের স্বার্থরক্ষার এই পথে, আমি আমার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের পথ অনুসরণ করব ও তাঁদের থেকে অনুপ্রেরণা নেব।” উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের অসমের বিশেষ অভিবাসী আইন আসাম থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার করার বিশেষ ক্ষমতা দেয়। তাঁদের শনাক্তকরণ ও বহিষ্কারেও বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এই রাজ্যকে। আইনে বলা হয়েছে, সেই সব অবৈধবাসী যারা রাজ্যের জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী তাঁদের বহিষ্কার করতে পারবে সরকার।