স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১০ জুন : সোমবার কেন্দ্রে এনডিএ সরকারের শাসনকালের এগারো বছর পূর্ণ হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করলেন, গত এগারো বছরে দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের মূল রয়েছে আধুনিকীকরণ ও আত্মনির্ভরতার সংকল্প।
স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরে ‘আত্মনির্ভর ভারতের অঙ্গীকার করেছিলেন মোদি। সম্ভবত যার বাস্তবায়ন সবথেকে বেশি করে দেখা গিয়েছে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে। ইতিমধ্যে গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে তৈরি হয়েছে ও হচ্ছে আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের কারখানা। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “গত ১১ বছরে আমাদের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। লক্ষ্য হল আধুনিকীকরণ এবং প্রতিরক্ষা উৎপাদনে স্বনির্ভর হওয়া। ভারতকে আরও শক্তিশালী করার সংকল্পে ভারতের জনগণ যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন তা দেখে আনন্দিত বোধ করছি।”
এদিন আত্মনির্ভরতার সাফল্যকে তুলে ধরতে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রপ্তানির পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪-‘১৫ অর্থবর্ষে ভারতের প্রতিরক্ষা রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১, ৯৪০ কোটি টাকা, ২০২৪-‘২৫ অর্থবর্ষে তা পৌঁছে গিয়েছে ২৩, ৬২২ কোটি টাকায়। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার কথাও তুলে ধরা হয়েছে মোদি সরকারের এক দশকের সাফল্য হিসাবে। উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বশান্তির জন্যে রাষ্ট্রসংঘের নেতৃত্বে ৫০টি মিশনে গিয়েছে ভারতের ২.৯ লক্ষ সেনা। এছাড়াও কোভিডের ভ্যাকসিন তৈরি এবং তা বিভিন্ন দেশকে দেওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে এনডিএ সরকারের এগারো বছরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে গিয়ে।
প্রসঙ্গত, গতকাল এক্স হ্যান্ডেলে নিজেদের ‘বিকাশ যাত্রা’র একের পর এক খতিয়ান তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লেখেন, ‘গত ১১ বছরে আমাদের সরকারের সকল প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল গরিব ভাই-বোনেদের জীবনের সার্বিক উন্নতি ঘটানো। উজ্জ্বলা হোক বা পিএম আবাস, আয়ুষ্মান ভারত হোক ভারতীয় জনৌষধী বা পিএম কিষাণ সম্মান নিধি।” যদিও এই দাবিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, মোদির ১১ বছরের শাসনকাল শুধুই ব্যর্থতা ও হতাশায় ভরা। নিজের দাবির সমর্থনে ২০২৪ সালের ভোটে বিজেপি ইস্তাহারের ১৫টি প্রতিশ্রুতি ও এক বছর পর সেগুলির রূপায়নে ব্যর্থতার তথ্য তুলে ধরেন তিনি।