Tuesday, May 13, 2025
বাড়িজাতীয়কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছে আরএসএসও।

কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছে আরএসএসও।

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৭এপ্রিল : পহেলগাঁওয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবিতে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছে আরএসএসও। খোদ সরসংঘপ্রধান মোহন ভাগবত বলছেন, “অহিংসা যেমন ভারতীয়দের স্বভাবজাত, তেমনই আক্রমণকারীদের শাস্তি দেওয়াটাও সরকারের কর্তব্য।”

আরএসএস প্রধান বলছেন, “অহিংসা আমাদের সহজাত। আমরা প্রতিবেশীদের আক্রমণ করি না। কিন্তু কিছু মানুষ বদলাবে না। আপনি যতই চেষ্টা করুন তাঁদের স্বভাব বদলাতে পারবেন না। গোটা বিশ্বকে ওরা বিব্রত করে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজার কর্তব্য হল, নিজের সম্পত্তি রক্ষা করা। এর সেটার জন্য হামলাকারীকে হত্যা করাটাও কর্তব্য।”

দিন দুই আগেও পহেলগাঁও ইস্যুতে সুর অনেকটা অন্যরকম ছিল। সেদিন তিনি বলেন, “ধর্ম জিজ্ঞেস করে করে মানুষ মারা হয়েছে। হিন্দুরা হলে কোনওদিন এমন করত না। এই লড়াইটা এখন ধর্ম বনাম অধর্মের।” সেদিন মোদি সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “শয়তানকে শেষ করতে হলে নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে হয়। রাবণও নিজেকে বদলাতে চায়নি। তাই অন্য কোনও বিকল্প না দেখে রাম তাঁকে হত্যা করেন। তবে সেটার আগে একবার মত বদলের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল রাবণকে।” তবে এবার একেবারে সরাসরি হামলাকারীকে হত্যার নিদান দিলেন সংঘপ্রধান। বস্তুত সংঘের তরফেও বলে দেওয়া হল, সময় এসেছে কঠোর পদক্ষেপ করার। যা কিছুটা হলেও চাপ বাড়াবে মোদি সরকারের উপর।

বস্তুত, পহেলগাঁও হামলার পর গোটা দেশে সুকৌশলে বিভাজনের প্রচার চালানো হচ্ছে। বিজেপির আইটি সেল, সংঘ কর্মীরা এবং যারা সংঘের মতাদর্শ যারা বিশ্বাস করেন তাঁরা সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো উগ্র বিভাজনমূলক প্রচার চালাচ্ছেন, ‘তথাকথিত’ ধর্মনিরপেক্ষ অর্থাৎ ‘সেকুলার’দের আক্রমণ করা হচ্ছে। সবটাই হিন্দুত্বের জাগরণ এবং সংখ্যাগুরুকে একত্রিতকরণের চেষ্টা। মোহন ভাগবত অত সুক্ষ্ম হিসাবে গেলেন না। একেবারে স্পষ্ট ভাষায় হিন্দু ঐক্যের পক্ষে সওয়াল করলেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য