স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৩ এপ্রিল : কেবল হিন্দু হওয়ার ‘অপরাধে’ পহেলগাঁওয়ে হত্যা করা হয়েছে ২৬ জনকে। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে আমজনতা-নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে সরব প্রত্যেকেই। জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে সরব ভারতীয় মুসলিম নেতৃত্বও। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির তোপ, ইসলামকে ঢাল করে যারা মানুষের রক্তপাত করছে, তারা মানবতা এবং মুসলিম ধর্ম দুইয়েরই শত্রু।
পহেলগাঁওয়ে হামলার পরে এক্স হ্যান্ডেলে প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রী নকভি লেখেন, ‘দেশ এবং মানবতার বিরুদ্ধে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে নরপশুরা। তাদের অবিলম্বে নিকেশ করতে হবে। যারা ইসলামকে ঢাল করে মানুষের রক্ত ঝরাচ্ছে, তাদের নেতারা মুসলিম ধর্ম এবং মানবতা উভয়েরই শত্রু।” কংগ্রেস নেত্রী শামা মহম্মদের মতে, মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হোক রাওয়ালপিণ্ডিকে। আলোচনা, বাণিজ্য, ক্রিকেট, বিনোদন-পাকিস্তানের সঙ্গে সবকিছু বন্ধ হোক। পাকিস্তানকে এমন শিক্ষা দেওয়া হোক যেন তারা কোনও দিন না ভোলে।
ভারতীয় মুসলিমদের অন্যতম প্রধান নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও পহেলগাঁও হামলার প্রবল নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, “ধর্মীয় পরিচয় জিজ্ঞাসা করে নির্বিচারে হত্যা করা হল সাধারণ মানুষকে। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি। আশা করি সরকার এই নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ করবে সরকার। তবে এই ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার বিষয়টিও খুব গুরুত্বপূর্ণ।” পহেলগাঁও হামলাকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করেছেন হায়দরাবাদের সাংসদ।
পহেলগাঁওয়ে হামলার পর পথে নেমে প্রতিবাদ করেছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর কথায়, “এই হামলা কেবল পর্যটকদের উপর নয়, আমাদের উপরেও হয়েছে। আমাদের কাশ্মীরিয়ত পরিচয়ের উপর আক্রমণ হয়েছে। হামলার তীব্র নিন্দা করছি। এমন হামলা মোটেও বরদাস্ত করা হবে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে মেহবুবার আবেদন, জঙ্গিদের দ্রুত কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।