স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০৫মার্চ : আগামী ২৫ বছরে ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা লাফিয়ে বাড়বে। অর্থাৎ ২০৫০ সালের মধ্যে ইন্দোনেশিয়াকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত। এমনই দাবি এক গবেষণায়। তবে এরই পাশাপাশি এদেশে হিন্দু জনসংখ্যাও যে অনেকটাই বাড়বে সেকথাও বলা হয়েছে গবেষণায়। যদিও সারা পৃথিবী জুড়ে বৌদ্ধ জনসংখ্যা অপরিবর্তিতই থাকবে।
প্রসঙ্গত, গোটা বিশ্বের নিরিখে যে দুই ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তারা খ্রিস্টান ও মুসলিম। ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা সর্বত্রই তাদের সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকাতে খ্রিস্টানরা সংখ্যাগুরু। অন্যদিকে এশিয়ার একটা বড় অংশ ও আফ্রিকায় মুসলিমরাই সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি। যদিও ভারতের মতো বৃহৎ দেশে হিন্দুরাই সংখ্যাগুরু। প্রতিবেশী দেশ নেপালেও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যাগুরু। অন্য দেশগুলিতে অবশ্য হিন্দু জনসংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কমই। বাকি ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যাও ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কেবল একটি ব্যতিক্রম রয়েছে।
পিউ রিসার্চ সেন্টার একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সারা বিশ্ব জুড়েই ধর্মীয় জনঘনত্ব প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে জন্মহার ও প্রধান ধর্মগুলির তরুণ সদস্যের সংখ্যার প্রভাবে অনেক কিছুই বদলাবে। আর তার ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ইসলাম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা প্রায় সমান সমান হবে। আগামী আড়াই দশকে ইউরোপের মুসলিম জনসংখ্যা এখনকার তুলনায় ১০ শতাংশ বাড়বে। অন্যদিকে আমেরিকা ও ফ্রান্সের মতো দেশে এমন মানুষের সংখ্যা বাড়বে যাঁরা কোনও ধর্ম পালন করবেন না। এর ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে আমেরিকায় খ্রিস্টানদের সংখ্যা কমবে। অ-খ্রিস্টানদের সংখ্যা বাড়বে। দ্বিতীয় স্থানে থাকবে না ইহুদিরা। অন্যদিকে ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতই হবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার দেশ। যদিও হিন্দু জনসংখ্যাও এখনকার তুলনায় অনেকটাই বাড়বে। কেবল সারা বিশ্ব জুড়েই বৌদ্ধ জনসংখ্যা বাড়বে না। তা অপরিবর্তিতই থাকবে।