স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০৫মার্চ : ২০১১-১২ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের মধ্যে ৩০ কোটি মানুষ দারিদ্র থেকে বেরিয়ে এসেছেন। মঙ্গলবার এই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শমিকা রবি। লোকসভা ভোটের মাস তিনেক আগে মোদি দাবি করেছিলেন, গত দশ বছরে বিজেপি সরকারের সুশাসনে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্রের কবল থেকে বেরিয়ে এসেছেন। সেই দাবিকেই মান্যতা দিলেন শমিকা। যদিও দারিদ্র মাপার স্কেল নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশে দারিদ্র আছে কি নেই, এই নিয়ে প্রচার ও পালটা প্রচার শাসক ও বিরোধীদের বরাবরের কৌশল। যদিও সাম্প্রতিক ভারতে নির্বাচনী কৌশল হিসাবে দারিদ্র, বেকারত্বের মতো বিষয়গুলি গুরত্ব হারাচ্ছে, ক্রমশ গুরত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ধর্ম। এর পরেও অবশ্য লোকসভা ভোটের তিন মাস আগে নীতি আয়োগ দাবি করেছিল, মোদি সরকারের দশ বছরে ২৪.৯ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে লোকসভা ভোটের প্রচার চালান মোদি।
অর্থনীতিবিদ সি রঙ্গরাজনের দারিদ্রসূচকে শহরে ১,৪০৭ টাকা এবং গ্রামে ৯৭২ টাকার কম কেউ খরচ করলে তাকে দরিদ্র বলা হয়। মোদির আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শমিকা রবির দাবি করেছেন, রঙ্গরাজনের দারিদ্রসীমার ভিত্তিতেই দেখা যাচ্ছে, ২০১১-১২ থেকে ৩০ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। শতাংশের হিসাবে ২০১১-১২-য় দারিদ্রের হার ছিল ২৯.৫%, ২০২৩-২৪-এ তা কমে হয়েছে ৪%।
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক স্তরে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মানের যে সমস্ত মাপকাঠি নিয়ে বহুমুখী দারিদ্রসূচক তৈরি হয়, নীতি আয়োগ তা মানছে না। মোদি সরকার দারিদ্রসীমা তুলে নিজের সুবিধা মতো সূচক তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শমিকার হিসাব অনুয়ায়ী, পশ্চিমবঙ্গে দারিদ্রের হার ৩০.৪% থেকে কমে ৬% হয়েছে। শমিকা বলেন, “সব রাজ্যে দারিদ্রের হার কমেছে। এক দশকে এই দারিদ্র মোচন অভূতপূর্ব ও ঐতিহাসিক।”