স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০২ মার্চ : ১০টি গরু পালন করলে মিলবে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ। রাজ্যবাসীকে গোপালনে উৎসাহিত করতে এমনই পদক্ষেপ নিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। যোগী সরকারের নয়া এই প্রকল্পের নামকরণ করা হয়েছে ‘অমৃতধারা প্রকল্প’। শুধু তাই নয়, বেওয়ারিশ গরুকে সংরক্ষণ করতে সদ্য পেশ হওয়া বাজেটে ২০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
সব বিতর্ককে ফুৎকারে উড়িয়ে নিজের শাসনকালে উত্তরপ্রদেশে হিন্দুত্বের জয়ধ্বজা উড়িয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। গরুকে ‘মা’ হিসেবে গণ্য করে তাদের সুরক্ষায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে এই গরুকে সুরক্ষা দিতে একের পর বড়সড় ঘোষণা যোগী সরকারের। গো-পালনে উৎসাহ তো বটেই সরকারের দাবি অনুযায়ী, এই প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশকে জৈব পদ্ধতিতে চাষের অন্যতম হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
সরকারের তরফে জানা গিয়েছে, এই অমৃতধারা প্রকল্পে রাজ্য সরকারের তরফে ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশে কৃষকদের অন্যতম মাথাব্যথা বেওয়ারিশ গরুকে সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি, যারা ২ থেকে ১০টি গরু পালন করবেন তাদের জন্য সরকার ১০টি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহজ শর্তে ঋণের সুবিধা দেবে। এই পরকল্পে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে কোনও গ্যারান্টারের প্রয়োজন পড়বে না। যোগী সরকারের মূল লক্ষ্য হল, রাসায়নিক সার এবং কীটনাশকমুক্ত কৃষিকাজ। সেই লক্ষ্যে গবাধি পশুই হয়ে উঠে পারে একমাত্র বিকল্প। সরকারের দাবি অনুযায়ী, এক্ষেত্রে গোবর ও গোমূত্রকে সার ও কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলে একদিকে যেমন গোপালনে কৃষকরা দুধ পাবেন অন্যদিকে তেমনই মিলবে সার ও কীটনাশক। এর মাধ্যমে রাজ্যের গোশালাগুলিও সাবলম্বি হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, যোগী আদিত্যনাথের গরুর প্রতি ভালোবাসা সর্বজনবিদিত। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই গো-সুরক্ষার উপর জোর দিয়ে আসছেন তিনি। বেওয়ারিশ গবাদি পশুদের জন্য গোশালা ও তাদের ভরণপোষণের জন্য আগেও রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে বিপুল অর্থ। এমনকি ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে গোয়ালঘর, গোবর গ্যাস স্থাপনের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। গবাদি পশু সংরক্ষণ এবং প্রচারের কথা মাথায় রেখে নন্দিনী প্রকল্পের মাধ্যমে নানা ধরনের অনুদান দিয়েছে যোগী সরকার। এবার আরও বড়সড় পদক্ষেপ যোগীর।