স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০৫ ডিসেম্বরঃ ভারত থেকে ইরানের উদ্দেশে যাওয়ার পথে আরব সাগরে প্রতিকূল আবহাওয়ার মাঝে পড়ে ভারতের একটি ছোট বাণিজ্যিক জাহাজ। উত্তাল সমুদ্রে ডুবতে বসে জাহাজটি। ভারত এবং পাকিস্তানের যৌথ অভিযানে সেই জাহাজডুবির কবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১২ জনকে। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজকে এই অভিযানে সাহায্য করেছে পাকিস্তানের সমুদ্র নিরাপত্তা সংস্থার একটি বিমান। উদ্ধার হওয়া ১২ জনকে ইতিমধ্যে গুজরাতের পোরবন্দরে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
গুজরাতের পোরবন্দর থেকে গত ২ ডিসেম্বর ইরানের উদ্দেশে রওনা দেয় পণ্যবাহী জাহাজটি। বুধবার প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে জাহাজটি এবং সেটি ডুবতে শুরু করে। আরব সাগরের ওই অঞ্চলটি গুজরাতের পোরবন্দর থেকে প্রায় ২৭০ কিলোমিটার পশ্চিমে। সমুদ্রের ওই অঞ্চলটি ভারতের জলসীমার বাইরে। সমুদ্রে এই ধরনের উদ্ধারকাজের জন্য ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশেই নিজ নিজ যোগাযোগ কেন্দ্র রয়েছে। ডুবন্ত ওই জাহাজ থেকে প্রথমে সাহায্য চাওয়া হয় মুম্বইয়ে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর উদ্ধারের জন্য যোগাযোগ কেন্দ্রে। সেখান থেকে তৎক্ষণাৎ সেই তথ্য পাঠানো হয় গুজরাতের গান্ধীনগরে উপকূলরক্ষী বাহিনীর উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় সদর দফতরে।
গান্ধীনগরের দফতরে ওই তথ্য যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ ‘সার্থক’কে পাঠানো হয় উদ্ধার অভিযানে। খবর দেওয়া হয় পাকিস্তানের সমুদ্র নিরাপত্তা সংস্থার যোগাযোগ কেন্দ্রেও। উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান থেকেও দ্রুত সহযোগিতা করা হয় উদ্ধার অভিযানে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজকে সাহায্যের জন্য পাকিস্তানি সমুদ্র নিরাপত্তা সংস্থার একটি বিমানকে পাঠানো হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ‘সার্থক’ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই ওই ১২ জন ডুবন্ত জাহাজটি ত্যাগ করেন। তাঁরা একটি ছোট নৌকায় সমুদ্রে ভাসছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককে উদ্ধার করে উপকূলরক্ষী বাহিনী। পরে এক বিবৃতিতে ভারত ও পাকিস্তানের যৌথ অভিযানকে একটি ‘মানবিক’ উদ্ধার অভিযান হিসাবে ব্যাখ্যা করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী।
ওই ১২ জনকে উদ্ধারের পর উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজেই তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। পিটিআই জানিয়েছে, সকলেই সুস্থ রয়েছেন এবং তাঁদের গুজরাতের পোরবন্দরে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পাকিস্তানের সমুদ্র নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, বুধবার ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর মুম্বই দফতর থেকে তারা একটি জরুরি ইমেল পান। ডুবন্ত জাহাজের কথা তাদের জানানো হয় ওই ইমেলে।