স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,৩০ নভেম্বর : প্রান্তিক ভারতবাসী, আদিবাসীদের কাছে পৌঁছচ্ছে না কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা। আক্ষেপ খোদ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। রাষ্ট্রপতি বলছেন, আদিবাসীদের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা না পৌঁছনোর মূল কারণ হল তাঁদের নিজস্ব জমি না থাকা।
আসলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মতো বেশ কিছু সরকারি প্রকল্প আছে, যা সরাসরি জমি থাকা বা না থাকার উপর নির্ভর করে। ন্যূনতম জমি না থাকলে এই প্রকল্পগুলির সুবিধা পাওয়া যায় না। সমস্যা হলে, প্রান্তিক এবং অতি পিছিয়ে পড়া আদিবাসী সমাজের একটা বড় অংশ এখনও জঙ্গলে, পাহাড়ী এলাকায় বাস করেন। এবং এদের নিজের নামে নথিভুক্ত জমি নেই। যে কারণে এই প্রকল্পগুলি আদিবাসীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় না। সেটাই আক্ষেপ রাষ্ট্রপতির। তিনি বলছেন, এই আদিবাসীদের নিজস্ব জমি নথিভুক্ত করার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে এগিয়ে আসতে হবে।
দ্রৌপদী মুর্মু বলছেন, “আমি নিজে আদিবাসী হওয়ার জন্য ওদের মানসিকতা এবং চিন্তাভাবনা বুঝি। ওদের সমস্যা, অভাব অভিযোগ বুঝি, ওদের শিক্ষা ব্যবস্থাও বুঝি। কেন্দ্র সরকার এই আদিবাসীদের মূলস্রোতে আনার একটা প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ” রাষ্ট্রপতি বলছেন, “আমি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অতি পিছিয়ে পড়া মানুষের সঙ্গে কথা বলছি। ওদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষিত। দেখে ভালো লাগছে ওরা উন্নতি করতে চাইছে।”
উত্তরাখণ্ডের রাজভবনে আদিবাসীদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, “জমির সমস্যাটা সর্বত্র। আদিবাসীদের কতটা জমি দেওয়া হবে, সব রাজ্য সেটার সীমা বেঁধে দিয়েছে। এখানে আপনারা ৫ একর জমি চাইছেন। আমরা রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করব, আপনাদের সমস্যার কথা শুনে, সেটা নিয়ে যেন তারা ভাবনা চিন্তা করে।” রাষ্ট্রপতির স্পষ্ট বক্তব্য, ভূমিহীন আদিবাসীদের অবশ্যই দ্রুত জমি পাওয়া উচিত। সেটা না হলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মতো প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা পাবে না।