স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৯ নভেম্বর: জেলের পরিবেশে প্রসব করলে মা এবং সন্তানের উপর তার প্রভাব পড়তে পারে। বন্দিনীকে সাময়িক জামিন দিল বম্বে হাই কোর্ট। প্রসবের জন্য ছ’মাস জেলের বাইরে থাকবেন তিনি। সরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
মাদক পাচারের অভিযোগে গত এপ্রিল মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক মহিলাকে। গ্রেফতারির সময়েই তিনি দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মানবিকতার খাতিরে জামিন দেওয়া হোক, আবেদন জানিয়ে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। আদালতের নাগপুর বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল সম্প্রতি। ওই মহিলা এখন ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আদালত জানিয়েছে, প্রসব এবং তার পরবর্তী সময়ে সন্তানের দেখাশোনার জন্য ছ’মাস জেলের বাইরে থাকবেন তিনি। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আবার তাঁকে জেলে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
মহারাষ্ট্রের গোন্দিয়া স্টেশনের নিরাপত্তারক্ষীরা এপ্রিল মাসে একটি ট্রেনে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন। পাঁচ জনের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য পাওয়া গিয়েছিল সে সময়। পাঁচ জনকেই গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের মধ্যে সুরভি সোনি নামের ওই মহিলাও ছিলেন। তাঁর ব্যাগ থেকে পাওয়া গিয়েছিল সাত কিলোগ্রাম গাঁজা।
বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি ঊর্মিলা যোশি ফালকের একক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, জেলে বন্দি হলেও তাঁর মর্যাদার অধিকার রয়েছে। জেলে সন্তান প্রসব হলে তার প্রভাব পড়তে পারে বন্দিনীর মনে। সন্তানের পক্ষেও জেলের পরিবেশে বড় হওয়া কাম্য হতে পারে না। তাই এ ক্ষেত্রে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। মহিলার জামিন মঞ্জুর করা হলে এই সংক্রান্ত তদন্তে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি।