Saturday, January 18, 2025
বাড়িজাতীয়গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সংখ্যাও কমানোর উদ্যোগ কেন্দ্রের

গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সংখ্যাও কমানোর উদ্যোগ কেন্দ্রের

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৮ নভেম্বর :রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পর এবার গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সংখ্যাও কমানোর উদ্যোগ কেন্দ্রের। দেশের একাধিক রাজ্যে একের বেশি গ্রামীণ ব্যাঙ্ক রয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির সংখ্যা কমিয়ে সেগুলিকে আরও আর্থিকভাবে শক্তিশালী এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত করার চেষ্টা করতে চাইছে। গত ৪ নভেম্বর চতুর্থ পর্যায়ের গ্রামীণ ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অর্থ মন্ত্রক।

এই মুহূর্তে দেশে মোট ৪৩টি আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক রয়েছে। সেটাকে কমিয়ে ২৮-এ নামানোর ভাবনা অর্থমন্ত্রকের। কেন্দ্রের প্রস্তাব অনুযায়ী একটি রাজ্যে একটি করেই বড় আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থাকার কথা। ইতিমধ্যেই আঞ্চলিক ব্যাঙ্কগুলির নিয়ন্ত্রক সংস্থা নাবার্ডের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা সেরে ফেলেছে কেন্দ্র। এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সংখ্যাটা একের বেশি। বাংলাতেই আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সংখ্যা তিন। এ রাজ্যের তিনটি আরআরবি হল, বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক, পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এবং উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্ক। এমনিতে গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির ৫০ শতাংশ শেয়ার থাকে কেন্দ্রের হাতে। বাকিটা থাকে রাজ্য সরকার এবং স্পনসর ব্যাঙ্কগুলির হাতে। ফলে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে রাজ্য সরকারগুলি এবং ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন। কেন্দ্র অবশ্য জানিয়েছে, রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে আলোচনার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যে আঞ্চলিক ব্যাঙ্কগুলির কথা বলা হচ্ছে, প্রতিটি ব্যাঙ্কের সঙ্গেই একটি কর বড় ব্যাঙ্ক যুক্ত থাকে। যাকে বলা হয় স্পনসর ব্যাঙ্ক। যেমন বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক। একইভাবে ইউকো ব্যাঙ্কের পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সঙ্গে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এবং উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সঙ্গে ইউকো ব্যাঙ্ক যুক্ত। কেন্দ্রের প্রস্তাব অনুযায়ী, বাকি দুটি আঞ্চলিক ব্যাঙ্ককে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হবে। সেটার স্পনসর ব্যাঙ্ক হবে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কই।

কেন্দ্র মনে করছে, গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণ করা হলে সেগুলি আর্থিকভাবে শক্তিশালী হবে। দৈনন্দিন খরচ অনেকটা কমবে, প্রশাসনিক খরচও কমানো যাবে। এই উদ্যোগ অবশ্য আগেও নেওয়া হয়েছিল। আগে এই ব্যাঙ্কের সংখ্যাটা ১৪৩ ছিল। ২০০৪-০৫ অর্থবর্ষ থেকে সেটা কমানো শুরু হয়েছে। সেখান থেকে কমিয়ে ৪৩ করা হয়। এবার সেটাকে আরও কমিয়ে ২৮ করা হচ্ছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য