স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩ সেপ্টেম্বর: লোকসভার পর বিধানসভা নির্বাচনেও জোট বাঁধতে চলেছে আপ এবং কংগ্রেস। হরিয়ানায় ভোটের মুখে নতুন করে শুরু হয়ে গেল জল্পনা। শোনা যাচ্ছে, বিজেপি বিরোধী ভোট যাতে ভাগাভাগি না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে আপের সঙ্গে জোট বাঁধতে চান খোদ রাহুল গান্ধী। আপের তরফেও জোটের ইঙ্গিত মিলেছে। এখন বাধা শুধু আসনরফা।
গত লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি, হরিয়ানা-সহ পাঁচ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জোট বেঁধেছিল কংগ্রেস এবং আপ। হরিয়ানায় ১০ আসনের মধ্যে আপকে একটি আসন ছাড়ে কংগ্রেস। হাত শিবির যে ৯ আসনে লড়েছিল, তার মধ্যে পাঁচটিতে জেতে তাঁরা। আপ একমাত্র আসনটি বিজেপির কাছে হেরে যায়। পরে স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা দাবি করেন, কুরুক্ষেত্র আসনটিতে কংগ্রেসের প্রার্থী থাকলে বিজেপিকে হারানো যেত। এমনকী, বিধানসভা ভোটের আগে ভুপিন্দর সিং হুডা, কুমারী শৈলজার মতো হরিয়ানার কংগ্রেস নেতারা আপের সঙ্গে জোটের ঘোর বিরোধী। হরিয়ানার কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, কংগ্রেস সে রাজ্যে একাই বিজেপিকে হারানোর ক্ষমতা রাখে।
দিল্লির কংগ্রেস নেতারা অবশ্য ভিন্নমত পোষণ করছেন। শোনা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধী রবিবার দলের নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে হরিয়ানার নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, আপের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে তাঁদের কী মত? আসলে রাহুল কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ। তিনি মনে করছেন, ১০ বছর বাদে হরিয়ানায় বিজেপিকে হারানোর সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হলে সেই সুযোগ নষ্ট হতে পারে। আপের শীর্ষ নেতা সঞ্জয় সিংও জোটের পক্ষে। তিনিও জানিয়েছেন, “আপের মূল লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো। কংগ্রেস যদি জোটের প্রস্তাব দেয়, আমরা স্বাগত জানাব।”
তবে আপ এবং কংগ্রেসের আসনরফায় মূল সমস্যা হতে পারে আসনরফা। কারণ, হরিয়ানায় আপ অন্তত ২০টি আসনে লড়তে চাইছে। সেখানে কংগ্রেসের স্থানীয় নেতারা ২-৩ আসনের বেশি ছাড়তে রাজি নন। শেষমেশ যদি আপস করতেও হয়, তাতেও সর্বোচ্চ ৫ আসন পর্যন্ত ছাড়তে রাজি হতে পারেন হুডারা। তাতে আপ রাজি হয় কিনা সেটাই দেখার।