স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১ এপ্রিল : ভোটের মুখে ফের দাম বাড়ল জীবনদায়ী ৮০০ ওষুধের। ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটির তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ১ এপ্রিল সোমবার থেকে অ্যান্টিবায়োটিক, পেইনকিলার-সহ প্রায় ৮০০ রকমের ওষুধের (Medicine) দাম বাড়ানো হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে ডায়াবেটিস ও প্রেশারের মতো জীবনদায়ী ওষুধও। দফায় দফায় এভাবে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিতে দুশ্চিন্তায় প্রবীণ নাগরিকরা।
এনপিপিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক, পেনকিলার (ব্যাথা-যন্ত্রণার ওষুধ), ভিটামিন, রক্তচাপ-সুগার-কোলেস্টেরল এবং জ্বর-সর্দি-কাশির মত প্রায় ৮০০ ওষুধের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে। সংস্থার দাবি, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন উপদেষ্টামণ্ডলীর সুপারিশ মেনেই ওষুধের নতুন দাম নির্ধারিত করা হয়েছে। যদিও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ওষুধের দাম অনেক কম বাড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এনপিপিএ জানিয়েছে, জরুরি ওষুধের তালিকায় থাকা ওষুধের দাম ০.০০৫৫ শতাংশ বাড়ছে। উল্লেখ্য, গত বছরেই বহু ওষুধের দাম অন্তত ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে দাম বেড়েছিল ১০ শতাংশ।
এদিকে ফের ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার। অভিযোগ উঠছে রাজনৈতিক মদতেই এভাবে দফায় দফায় দাম বাড়িয়েই চলেছে ওষুধ সংস্থাগুলি। দিনকয়েক আগেই ফার্মা সংস্থাগুলি শাসকদল বিজেপির নির্বাচনী বন্ডে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা দিয়েছে বলে জানা যায়। রাজনৈতিক মহলের দাবি, সেই বিপুল টাকা তুলতে ওষুধের দাম বাড়ানোর সুযোগ যে করে দেওয়া হবে তা বলাই বাহুল্য। যদিও একটি এনজিও কর্তার দাবি, এবছর ওষুধের দাম তুলনামূলক কম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে। যদিও বাস্তবে যে মোটেই এমন হচ্ছে না তা সাম্প্রতিককালে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় ব্লাড সুগার, প্রেশার, জ্বরের ওষুধের দাম অন্তত ১৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়াতেই স্পষ্ট। ওষুধের দাম বাড়িয়ে অসুস্থের পরিবারকে কার্যত কপর্দকহীন করে দেওয়া নিয়ে ফার্মা কোম্পানি ও কেন্দ্রের উপর স্বাভাবিকভাবেই মধ্যবিত্তর ক্ষোভ বাড়ছে।