স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৪ মার্চ : এবার খোদ রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কেরলের বাম সরকার। পিনারাই বিজয়ন সরকারের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতি যেভাবে কেরলের একাধিক জনমুখী বিল আটকে রেখেছেন সেটা অসাংবিধানিক। এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক সুপ্রিম কোর্ট, এই দাবিতে আর্জি জানিয়েছে কেরল সরকার।
কেরলের বাম সরকারের বক্তব্য, রাজ্য ও কেন্দ্র সম্পর্কের বিষয় জড়িয়ে না থাকা সত্ত্বেও প্রায় দু’বছর কেরল বিধানসভায় পাশ করানো ৭টি বিল আটকে রয়েছে। রাজ্যপালের কাছে বার বার দরবার করেও লাভ হয়নি। সরকারের দাবি, এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে বার বার রাজ্য সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন রাজ্যপাল। একাধিক বিলে তিনি স্বাক্ষর করছেন না। এর জেরে রাজ্য সরকারের কাজে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিলগুলি আটকে রেখেছেন খোদ রাষ্ট্রপতি।
কেরল সরকারের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতি কোনও কারণ না দেখিয়েই দীর্ঘদিন বিলগুলো আটকে রেখেছেন। ফলে কার্যত অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে কেরল বিধানসভা। রাষ্ট্রপতির এই নিস্ক্রিয়তাকে অসাংবিধানিক আখ্যা দেওয়া হোক। এই মামলায় রাষ্ট্রপতির সচিব, রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান ও কেন্দ্রীয় সরকারকে পার্টি করেছে কেরল সরকার।
সমস্যা হল, রাষ্ট্রপতিকে কোনও বিল নিয়ে কতদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেটা সংবিধানের কোথাও স্পষ্ট করে বলা নেই। আবার রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল তাঁদের কাজের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। সেক্ষেত্রে কেরল সরকারের এই নজিরবিহীন মামলা কতটা টিকবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।