Sunday, September 8, 2024
বাড়িজাতীয়নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য প্রকাশে ডেডলাইন বাঁধল শীর্ষ আদালত

নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য প্রকাশে ডেডলাইন বাঁধল শীর্ষ আদালত

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৮ মার্চ : নির্বাচনী বন্ড ইস্যুতে ফের সুপ্রিম কোর্টের তোপে এসবিআই। বারবার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও সমস্ত তথ্য প্রকাশ করছে না রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটি। তাই সম্পূর্ণ তথ্য জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত । আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে এসবিআইকে।

নির্বাচনী বন্ড নিয়ে অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছে এসবিআই , এই মর্মে একটি মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়। সেখানেই চন্দ্রচূড় সাফ জানিয়ে দেন, “এসবিআইয়ের কাছে ইলেকটোরাল বন্ড সংক্রান্ত যা তথ্য রয়েছে সেটা পুরোটাই প্রকাশ করতে হবে। ব্যাঙ্ক যেভাবে তথ্য প্রকাশ করছে, সেই আচরণও খুবই আপত্তিকর। তারা ভাবছে শীর্ষ আদালত যে কয়েকটা তথ্যের বিষয়ে উল্লেখ করছে সেটুকুই প্রকাশ করতে হবে। বিষয়টা মোটেও তা নয়। সমস্ত তথ্য যখন চাওয়া হয়েছে তাহলে সম্পূর্ণ তথ্যই দিতে হবে এসবিআইকে। কোনও তথ্যই যেন গোপনে না থাকে।”
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে তথ্য প্রকাশের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছ শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ বিকেল পাঁচটার মধ্যে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে এসবিআইকে। সেই সঙ্গে জমা দিতে হবে বিশেষ হলফনামা। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করতে হবে, নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দিয়েছে এসবিআই। ব্যাঙ্কের দেওয়া সমস্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করতে হবে। প্রসঙ্গত, নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও কেন নির্বাচনী বন্ডের ইউনিক নম্বর-সহ অন্যান্য তথ্য দেয়নি এসবিআই, এই মর্মে একটি নোটিসও পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

প্রসঙ্গত, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করেছিল এসবিআই। জানা গিয়েছে, বন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে বিজেপি । ৬৯৮৬.৫ কোটি টাকা পড়েছে গেরুয়া শিবিরের তহবিলে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল মোট ১৩৯৭ কোটি টাকা পেয়েছে এই বন্ড থেকে। তৃতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেস পেয়েছে ১৩৩৪ কোটি। তেলেঙ্গানার বিআরএসের খাতায় পড়েছে ১৩২২ কোটি টাকা। তবে বন্ডের ইউনিক নম্বর এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। সেই তথ্য প্রকাশ করতেই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য