স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৮ ফেব্রুয়ারি: ফের গুজরাট উপকূল দিয়ে ভারতে মাদক ঢোকানোর চেষ্টা। যদিও মাদকের কারবারিদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হল নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায়। নৌসেনা ও নারকোটিক ব্যুরোর যৌথ অভিযানে পোরবন্দরের একটি জাহাজ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৩০০ কিলোগ্রাম মাদক। যার বাজার মূল্য ২ হাজার কোটি টাকা বলে জানা গিয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত পাঁচ পাকিস্তানি নাগরিককে।
নারকোটিক ব্যুরো সূত্রে জানা গিয়েছে, গুজরাট উপকূলে বাজেয়াপ্ত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৩০৮৯ চরস, ১৫৮ কেজি মেথামফেটামিন এবং ২৫ কেজি মরফিন। গোয়েন্দা সূত্রে খবর ছিল, মাদকের বিরাট লেনদেন হতে পারে পোরবন্দরে। সেই মতোই নজর রাখা হচ্ছিল জাহাজঘাটায়। এর পরেই দেখা যায় সন্দেহজনক জাহাজটিকে। যাতে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে পড়ে মাদকের ভাণ্ডার।
নারকোটিক ব্যুরোর তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জাহাজটি পাকিস্তান থেকে এসেছিল। তাঁরা আরও জানান, গুজরাট উপকূলে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মাদক উদ্ধারের ঘটনা এটিই। গ্রেপ্তার করা পাকিস্তানি নাগরিকদের বিরুদ্ধে আইন অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চে ইরান থেকে আসা একটি জাহাজকে আটক করেছিল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। ওই জাহাজ থেকে ৪২৫ কোটির মাদক উদ্ধার হয়েছিল।